অশ্বিনদের সামলানোর টোটকা চ্যাপেলের

প্রস্তুতি ম্যাচে স্লেজিংয়ের প্রস্তুতিও শুরু ওয়ার্নারদের

ভারতের মাটিতে পা রেখে স্লেজিং নিয়ে আগাম যা বলেছিলেন স্টিভ স্মিথ, তা যে নেহাতই ফাঁকা আওয়াজ নয়, তা বোঝা গেল শনিবার। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে, প্রস্তুতি ম্যাচে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

সিরিজ শুরুর আগেই অশ্বিন আতঙ্কে ভুগছে অস্ট্রেলিয়া।

ভারতের মাটিতে পা রেখে স্লেজিং নিয়ে আগাম যা বলেছিলেন স্টিভ স্মিথ, তা যে নেহাতই ফাঁকা আওয়াজ নয়, তা বোঝা গেল শনিবার। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে, প্রস্তুতি ম্যাচে। যেখানে জমিয়ে স্লেজিং করলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা। ভারত ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানদের বারবার বিরক্ত করতে দেখা যায় তাঁদের।

Advertisement

ভারত ‘এ’ দলের সেরা ব্যাটসম্যান শ্রেয়শ আইয়ারকে সবচেয়ে বেশি স্লেজিংয়ের মুখে পড়তে হয়। শ্রেয়শ দিনের শেষে মিডিয়ার কাছে তা ফাঁসও করে দেন। শনিবার অস্ট্রেলিয়া ৪৬৯-৭ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেওয়ার পরে ভারতীয় ‘এ’ দল তোলে ১৭৬-৪। শ্রেয়স অপরাজিত আছেন ৮৫ রানে।

এরই মধ্যে অস্ট্রেলীয়দের কুখ্যাত স্লেজিংয়ের শিকার হতে হয় শ্রেয়সকে। সবচেয়ে বেশি তাঁকে জ্বালাচ্ছিলেন ম্যাথু ওয়েড এবং ডেভিড ওয়ার্নার। সাংবাদিকদের শ্রেয়স বলেন, ‘‘ওরা আমাকে শুনিয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল, এই ছেলেটার ডিফেন্স একদম ভাল নয়। ও শুধু আক্রমণাত্মক শটই খেলতে পারে। প্রথমে ওয়েড শুরু করেছিল, তার পর ওয়ার্নার যোগ দেয়। তবে আমার তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ, ‘এ’ দলের হয়ে আমি যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছি, তখনও এ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।’’

Advertisement

প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মিচেল মার্শের ৭৫ রানের পরে অস্ট্রেলীয় মিডিয়ার খবর হল, প্রথম টেস্টে ছ’নম্বরে খেলতে পারেন এই অলরাউন্ডার। মার্শও মনে করছেন, তাঁর ওই জায়গায় খেলার একটা সুযোগ আছে। বলছিলেন, ‘‘আমার আশা ছিল, ভারতে এসে টেস্ট খেলার সুযোগ পাব। যদি খেলি, তা হলে সম্ভবত ওই ছ’নম্বর জায়গাতেই নামব।’’ অস্ট্রেলীয় প্রচারমাধ্যমও মনে করছে, মার্শ ওই জায়গায় নামা মানে তিন পেসারে খেলবেন স্মিথ।

তবে নিজেরদের এগারো নয়, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে ভারতীয় স্পিনারদের সামলানো। যে জন্য স্টিভ স্মিথদের কিছু পরামর্শ দিয়ে রাখছেন তাঁদের এক প্রাক্তন অধিনায়ক। অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্রে ইয়ান চ্যাপেল তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘‘ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রথম পনেরো মিনিট সামলানো। যখন বল ঘুরবে, ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে যাবে। আর চারপাশে থাকা ফিল্ডাররা তোমাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে তৈরি থাকবে।’’

রবিচন্দ্রন অশ্বিন-রবীন্দ্র জাডেজাদের খেলার জন্য চ্যাপেলের টোটকা হল, ব্যাকফুটে যাও। ‘‘একটা সময় বুঝতে পারবে, ব্যাকফুটে খেললে ডিফেন্স করার জন্য তোমার হাতে একটু বাড়তি সময় থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও বুঝতে হবে সে ক্ষেত্রে তোমাকে বলটা আরও মন দিয়ে দেখতে হবে,’’ লিখেছেন চ্যাপেল। তিনি মনে করেন, তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে নিজের কোচের কাছ থেকে যে শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন, তা অমূল্য। সেই শিক্ষাটাই স্মিথদের জন্য তুলে আনলেন লেখায়, ‘‘আমার কোচ বলেছিলেন, তুমি যদি ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে যাও, তা হলে উইকেটকিপারের কথাটা ভুলে যাবে। আর স্টাম্পড হলে, তিন ইঞ্চি নয়, তিন গজ বাইরে থেকে হবে।’’

এখন দেখার, চ্যাপেলের শিক্ষা থেকে কতটা ফায়দা তুলতে পারেন স্মিথ এবং তাঁর টিম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন