বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ জেমস ফকনারকে বাইরে রেখে জোড়া টেস্ট সফরের জন্য দল গড়ল। এমনই উন্নত অজি ক্রিকেট সিস্টেম এবং তাদের দেশের ক্রিকেট-প্রতিভা!
প্রথমে ৫ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্টের সিরিজ এবং তার পর ৮ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের ঐতিহ্যশালী অ্যাসেজ সিরিজের জন্য সদ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম বিধ্বংসী অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও সুযোগ পাননি অস্ট্রেলিয়া টিমে। নেই সম্প্রতি দেশের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টের দু’ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জো বার্নস-ও। হ্যামস্ট্রিং চোট এখনও না সারায় বিশ্বকাপের মতোই জোড়া টেস্ট সিরিজও মিস করছেন ফাস্ট বোলার জেমস প্যাটিনসন। রডনি মার্শের চেয়ারম্যানশিপে অস্ট্রেলীয় নির্বাচন কমিটি আরও এক বার আস্থা রেখেছেন পিটার সিডলের উপর।
মাইকেল ক্লার্কের টেস্ট দলে নতুন মুখ তিনটে। পাকজাত লেগ স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ, ব্যাটসম্যান অ্যাডাম ভোজেস এবং দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে পিটার নেভিল। শেষ জন তুলনায় অভিজ্ঞ ম্যাথু ওয়েডের আগে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রথম দু’জনের নির্বাচন নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই। শেষ পাঁচ বছর অস্ট্রেলিয়ায় বাস করার সুবাদে সে দেশের নাগরিকত্ব পেতেই এ মরসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ৪৮ উইকেট পাওয়া ফাওয়াদ জাতীয় দলে ঢুকে পড়লেন। অ্যাস্টন আগর-কে টপকে। দলের প্রথম স্পিনার অবশ্য নাথন লিঁয়-ই। আর পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ভোজেসের বয়স পঁয়ত্রিশ হলেও এ বারের ঘরোয়া মররসুমে তিনি-ই সর্বোচ্চ স্কোরার (১৩৫৮)। গড় অবিশ্বাস্য ১০৪.৪৬!
সদ্য বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে ওয়ান ডে-কে বিদায় বলা অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্যাপ্টেন ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘দু’টো গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সফরে সেরা সাফল্য পাওয়ার মতো গভীরতা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই এই দলের আছে বলে আমার বিশ্বাস।’’ এর পর কাপ-জয়োত্তর তাঁর লক্ষ্য জানাতে গিয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘‘খেলায় রূপকথা বলে ঠিক কিছু নেই। তবে বিশ্বকাপ হাতে আমার ওয়ান ডে-কে বিদায় জানাতে পারাটা হয়তো ওই রকমই। এখন লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ক্রিকেটেও এক নম্বর করা।’’
অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল: ক্লার্ক (অধিনায়ক), স্মিথ (সহ-অধিনায়ক), ফাওয়াদ, হাডিন (উইকেটকিপার), হ্যারিস, হ্যাজেলউড, জনসন, লিঁয়, মিচেল মার্শ, শন মার্শ, নেভিল (উইকেটকিপার), রজার্স, সিডল, স্টার্ক, ভোজেস, ওয়ার্নার, ওয়াটসন।