ট্রফি হাতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও মুশফিকুর রহিম। ছবি: এএফপি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের পর হোয়াইটওয়াশ শব্দটা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। তবে শেষ টেস্টে এসে নিজের জাত চিনিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। বুঝিয়ে দিল, চাইলেই ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া দলকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব নয়।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বীরদর্পে ঘুরে দাঁড়ায় স্টিভেন স্মিথের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে খুব বেশি লক্ষ্য রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ৮৬!
আরও পড়ুন
বৃষ্টি হলেও ম্যাচ হওয়া নিয়ে সমস্যা নেই জানিয়ে দিলেন সৌরভ
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচে খেলবেন শ্রীবৎসরা
অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে এই রানটা খুব একটা বড় হওয়ার কথা নয়। তবে চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ-সাকিবরা। তবে ম্যাক্সওয়েল ও পিটার হ্যান্ডসকম্বদের দৃঢ়তার সামনে পেরে ওঠেনি টাইগাররা।
তবে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালই খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। টাইগার পেসারের বাউন্সারটা সামলাতে পারেননি ওয়ার্নার। কোনও মতে বলটাকে ঠেকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বলটা ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যায়। সৌম্য সরকার সহজ একটি ক্যাচ নেন। অস্ট্রেলিয়ার স্কোরে তখন মাত্র ১৩ রান। তবে ম্যাট রেনশ ও স্টিভেন স্মিথ আক্রমণাত্মক খেলে বেশ কিছু রান তুলে নেন। তবে চার রানের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে খেলাটা জমিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব ও তাইজুল। দলীয় ৪৪ রানে স্মিথকে ফেরান তাইজুল। এর পরে রেনশকে ফেরান সাকিব। তবে ম্যাক্সওয়েল ও হ্যান্ডসকম্বের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল ২৫, রেনশ ২২ ও স্মিথ ১৬ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩৭৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৭।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে ভোগান নাথান লায়ন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নেন ৬ উইকেট। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন অধিনায়ক মুশফিক। এ ছাড়া মমিনুল হক ২৯ ও সাব্বির রহমান করেন ২৪ রান।