অস্ট্রেলিয়ার গর্জন এখনও থামছে না

রাঁচী টেস্টে নামার আগে দুই দলের অধিনায়ক মুখোমুখি বসে নাকি নিজেদের মধ্যে শান্তির বার্তা আদান প্রদান করবেন। দুই দেশের বোর্ড তেমনই ঠিক করে দিলেও উত্তাপ কিন্তু কমছে না। বরং অস্ট্রেলীয় শিবির থেকে এখনও ভেসে আসছে হুঙ্কার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৭ ০২:০৪
Share:

রাঁচী টেস্টে নামার আগে দুই দলের অধিনায়ক মুখোমুখি বসে নাকি নিজেদের মধ্যে শান্তির বার্তা আদান প্রদান করবেন। দুই দেশের বোর্ড তেমনই ঠিক করে দিলেও উত্তাপ কিন্তু কমছে না। বরং অস্ট্রেলীয় শিবির থেকে এখনও ভেসে আসছে হুঙ্কার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। তার আগে অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েড বলে রাখলেন, তাঁরা শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রাখতে চান। সেটা ভাল ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি প্রয়োজনে স্লেজ করেও।

বেঙ্গালুরুতে বিরাট কোহালিদের দেখে তাঁদের নাকি মনে হয়েছিল ‘খাঁচায় আটকানো সিংহ’। এমনই মন্তব্য করেছেন ওয়েড। পুণে টেস্টে যতটা না আগ্রাসী ছিলেন ভারতীয়রা, তার চেয়ে ঢের বেশি আগ্রাসন তাঁদের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে দেখা গিয়েছিল বলে মনে করেন অস্ট্রেলীয় কিপার। তাই রাঁচীতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না তাঁরা। শুরু থেকেই এই আগ্রাসী ভারতীয়দের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে যায় অস্ট্রেলিয়া।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে ওয়েড সাফ বলে দিয়েছেন, ‘‘ওরা বরাবরই আগ্রাসী। কিন্তু প্রথম টেস্টের পরে দ্বিতীয় টেস্টে ওদের পরিবর্তনটাই আমাদের শুরুতে বেশ ধাক্কা দিয়েছিল। বিরাটদের যদি একটু সুযোগ দেওয়া হয়, তা হলেই ওরা সেই সুযোগকে ভরপুর কাজে লাগায়। ওদের ম্যাচের কোনও সময়েই এগোতে দেওয়া যাবে না। তা হলেই ওরা এতটাই আগ্রাসী হয়ে উঠবে যে আমাদের ছন্দটাই নষ্ট করে দিতে পারে। আমরা সেই সুযোগটা ওদের দেব না।’’

সিরিজের শেষ দুই টেস্টেও ভারতকে এমনই মেজাজে দেখা যাবে বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। আর জন্য পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় যেতেও তৈরি অস্ট্রেলিয়া। ওয়েড যেমন বলেছেন, আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে তৈরি। আবার স্লেজ করতেও।

আরও পড়ুন: শাস্তি হয়নি দেখে অবাক দু প্লেসি

পুণেয় টেস্ট জেতার পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেছিলেন, ‘‘এই জয়ের পর আমাদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেল। কারণ, আমি জানি ভারত আমাদের সহজে ছেড়ে দেবে না। ওরা খোঁচা খাওয়া বাঘের মত আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।’’ সেটা বেঙ্গালুরুতে দেখাও গিয়েছিল। এবং তার জন্যই এখন আগে ভাগে সতর্ক থাকতে চায় অস্ট্রেলিয়া।

ওয়েড বলেছেন, ‘‘খেলার বাইরে যে সব ঘটনা চলছে, তা আমরা মাথায় রাখতে চাই না। আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই আর ক্রিকেটীয় দক্ষতায় ওদের হারাতে চাই। কারণ আমরা জানি আবেগ দিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না।’’ তবে প্রয়োজন পড়লে যে দু-চার কথা শুনিয়েও দেবেন, তাও জানিয়ে রাখতে ভুললেন না ওয়েড। এই ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখন বয়স বাড়ছে, তাই এগুলো এখন বেশি করতে ভাল লাগে না। তবে কখন পাল্টা বলা দরকার, সেটা অবশ্য আগের থেকে ভাল জানি। প্রয়োজন বুঝে সে সব করব।’’

অর্থাৎ যতই এক টেবলে বসে দুই ক্যাপ্টেন শান্তি বজায় রাখার কথা বলুন, স্লেজিংয়ের সম্ভাবনাটা যে জিইয়েই থাকছে, তা ওয়েডের কথাতেই স্পষ্ট।

ভারতের ঘূর্ণি উইকেটে কিপিং করা নিয়ে ওয়েড এ দিন বলেন, ‘‘নাথনের (লায়ন) বলের গতি যা বাড়ছে, তাতে ওকে কিপ করা বেশ কঠিন। বেঙ্গালুরুতে বল এত ওঠা-নামা করেছে যে, আমার কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন