সাতে সাত, বায়ার্ন আবার শেষ আটে

এই জয় আবার বায়ার্ন ম্যানেজার য়ুপ হায়েনকেসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১১তম সাফল্য। যা টুর্নামেন্টের একটা নয়া রেকর্ড।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৮
Share:

দুরন্ত: বেসিকতাসের ডিফেন্স ভাঙছেন অপ্রতিরোধ্য রিবেরি। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে। যে ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতে শেষ আটে গেল বায়ার্ন। ছবি: গেটি ইমেজেস

সাতে সাত বায়ার্ন মিউনিখ।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা সাত বার শেষ আটে ওঠার কৃতিত্ব গড়ল জার্মান ক্লাব। প্রথম পর্বের খেলায় ৫-০ এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ইস্তানবুলে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে বেসিকতাসের বিরুদ্ধে ৩-১ জিতল তারা।

থিয়াগো আলকান্তারার চোট থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে দুরন্ত গোল, সঙ্গে স্যান্ড্রো ওয়েগনারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের অভিষেক বায়ার্নকে এগিয়ে দেয়। বেসিকতাস এক গোল শোধ দিলেও আবার আত্মঘাতী এক গোল খায়। ফলে দু’পর্ব মিলিয়ে ৮-১ জিতলেন টমাস মুলাররা।

Advertisement

এই জয় আবার বায়ার্ন ম্যানেজার য়ুপ হায়েনকেসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১১তম সাফল্য। যা টুর্নামেন্টের একটা নয়া রেকর্ড। নজির গড়ে দারুণ খুশি বায়ার্নের ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘বেসিকতাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে এর আগে হারেনি। তাই আমাদের এই জয়টা কিন্তু সহজ ছিল না। ঠিক সময়ে আমরা গোল করতে পেরেছি।’’ তবে দলের প্রশংসা করলেও মাঝে মাঝে বায়ার্নের ফোকাস কিছুটা নড়ে যাওয়া নিয়ে তিনি সতর্ক। বললেন, ‘‘প্রথম পর্বে ৫-০ জেতার পরে একটা দল কিছুটা গা ঢিলে দিতেই পারে। সেটা স্বাভাবিক ভাবে চলে আসে।’’ সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘একটাই জিনিস যা আমাদের শুধরে নিতে হবে সেটা হল, এই ম্যাচে আমাদের অনেকেই হলুদ কার্ড দেখেছে।’’ এ দিন হলুদ কার্ড দেখেন বায়ার্নের ডিফেন্ডার জেরম বোয়েতেং, ম্যাটস হুমেলস এবং রাফিনা।

বায়ার্ন ক্যাপ্টেন মুলারও সহজে দুই পর্বের লড়াই জিতলেও বললেন, যতটা সোজা মনে হচ্ছে তত সহজে জয়টা আসেনি। ‘‘খেলাটা খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছিল। যতটা সময় আমাদের পায়ে বল থাকা উচিত ছিল, হয়নি। আমরা অনেক বার বল পা থেকে ফস্কেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে।’’ প্রথম পর্বের ম্যাচে এতটা এগিয়ে থাকায় অনেকে ভেবেছিলেন ইস্তানবুলে হয়তো প্রথম একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েক জনকে বিশ্রাম দিতে পারেন হায়েনকেস। কারণ, চলতি মাসেই ঘরোয়া লিগে তাদের লিপজিগ আর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচ রয়েছে। কিন্তু প্রথম দলে রবার্ট লেয়নডস্কিকে রেখে অবাক করে দেন বায়ার্ন ম্যানেজার।

৩২ গোল করে এ মরসুমে বায়ার্নের সর্বোচ্চ গোলদাতা অবশ্য ৬৭ মিনিট মাঠে থাকলেও গোল পাননি। ওয়েগনারকে তাই অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে নেমে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন লিগে নিজের প্রথম গোল করে বেসিকতাসকে শেষ ধাক্কাটা দেন ওয়েগনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন