জিদান-আনচেলোত্তি
দুই চাণক্যের লড়াই বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে মঙ্গলবার বের্নাবাউতে। দু’জনে গত বার একই বেঞ্চে বসে থাকতেন। আনচেলোত্তি ছিলেন রিয়ালের প্রধান কোচ, জিদান তাঁর সহকারী। কার্লো ছেড়ে যাওয়ার পর পুরোপুরি দায়িত্ব নিয়ে অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন জিজু। পুরনো জুটি আজ একে অন্যের প্রতিপক্ষ। মাদ্রিদে ফেরা স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন আনচেলোত্তি। কিন্তু ১-২ পিছিয়ে থাকার ঘাটতি কি মেটাতে পারবে দল?
রোনাল্ডো-লেয়নডস্কি
রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরা নিশ্চয়ই ভোলেননি পুরনো সেই ম্যাচের কথা। কোনও এক রবার্ট লেয়নডস্কির ঝড়ে যে দিন চার গোলে উড়ে গেল রিয়াল। এবারে প্রথম লেগে যদিও জার্মান তারকা চোট পেয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করলেন আর তাঁর প্রতিপক্ষ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একাই দু’গোল করে রিয়ালকে ২-১ জেতালেন। গত চার মরসুমেই তিনি সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে শেষ করেছেন। চোট সারিয়ে ফেরার কথা লেয়নডস্কিরও।
আরও পড়ুন: অ্যাজার-পেড্রো রুখেই চেলসিকে হারালেন মোরিনহো
র্যামোস-বোয়াতেং
দু’দলের দুই সেরা ডিফেন্ডার। রিয়ালের সের্জিও র্যামোস, বায়ার্নের জেহোম বোয়াতেং। একজনের ঘাড়ে লেয়নডস্কিকে আটকানোর চ্যালেঞ্জ। অন্য জনের দায়িত্ব রোনাল্ডোকে থামানোর। কারও কারও মতে, যে ডিফেন্ডার জিতবেন, তাঁর দলও জিতবে। এতচাই গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াই। ২০১৬-তে জার্মানির সেরা ফুটবলার হয়েছেন বোয়াতেং (লাল জার্সিতে)। র্যামোস শুধু রক্ষণই সামলান না, গোলও করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ সফল।
নাভাস-নিউয়ার
দুই গোলকিপারের দ্বৈরথ ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে বলে অনেকের মত। এবং, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ েনই যে, বায়ার্ন কিছুটা হলেও এই লড়াইয়ে এগিয়ে ম্যানুয়াল নিউয়ারের মতো সক্রিয় প্রহরী থাকায়। যিনি শুধু গোলই পাহাড়া দেন না, উঠে গিয়ে আক্রমণে সহায়তা করেন। পায়ের পাতায় অস্ত্রোপচারের পর ফিরেছেন নিউয়ার। তাঁর প্রতিপক্ষ নাভাস এ বছরে ব্যর্থ হয়েছেন অনেক বার। তাঁর আত্মবিশ্বাসও খুব ভাল জায়গায় নেই।