টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৬ বছর পর বাংলাদেশের প্রথম বার ভারত সফর করার উপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। যে সফরের জন্য সম্মতি জানিয়েছিল খোদ বিসিসিআই, এখন তারাই উল্টো সুর গাইছে।
চলতি বছরের অগস্টে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একটি টেস্ট খেলতে সম্মতি জানিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। বিসিবি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানিয়েছিল বিসিসিআই কর্তারাই। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ সফরে নির্ধারিত ২ টেস্টের সিরিজ থেকে একটি টেস্ট বাদ দিয়ে সেই টেস্টটি চলতি বছরের অগস্টে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইসিসি ঘোষিত ফিউচার ট্যুর প্রজেক্টও ( এফটিপি)। জুনে জিম্বাবোয়ে সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে, জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৪ টেস্টের সফরসূচি ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে। অক্টোবরে ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ টেস্ট ৫ ওয়ানডে এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজও বিসিসিআই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কিন্তু আগামী অগস্টে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে বিসিসিআই।
আরও খবর: ‘অতিরিক্ত ক্রিকেট ক্ষতি করছে মুস্তাফিজুরের’
এখনো আইসিসির এফটিপিতে অগস্টের শেষ সপ্তাহ এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ফাঁকা। আগামী ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহও ফাঁকা। তবে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে ২ টেস্ট,৩ ওয়ানডে এবং ২ টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরসূচি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্রকাশ করায় আগামী অগস্ট-সেপ্টেম্বর ছাড়া আপাতত ভারত সফরের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বিসিবিও। আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম ২ সপ্তাহ অবশ্য স্লট ফাঁকা আছে ভারতের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এফটিপির বাইরে আর কোন স্লট নেই ভারতের। তবে এখনই নিরাশ হওয়ার পক্ষপাতী নন বিসিবি। সুজন বলেন, “সাত-আট দিনের একটা স্লট পেলে তাতেই একটা টেস্ট খেলে দেশে ফিরে আসা সম্ভব। এ বছর না হোক এই ক্রিকেট মরশুমে তা বের করতে পারবে বিসিসিআই, এমনটাই আশা করছি আমরা।”