নয়াদিল্লিতে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভার আরও দিন আট-নয় বাকি। লোঢা কমিশনের সঙ্গে বোর্ড পদাধিকারীদের বৈঠক তারও পরে। কিন্তু তার আগে নিজেদের স্টান্স কী হবে, তা মোটামুটি ঠিক করে ফেলল বোর্ড।
ঐক্যবদ্ধ হও আর সাহস দেখাও।
আগামী ৫ অগস্টের বোর্ড বৈঠক নিয়ে শোনা গেল ভাল রকম চাঞ্চল্য ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। বোর্ড কর্তারা একে অন্যকে ফোন করে জেনে নিচ্ছেন, বৈঠকের কারণে কে কবে নয়াদিল্লি ঢুকছেন। ফোনে নাকি বিশদে কথাবার্তা বলা হচ্ছে না ট্যাপিংয়ের ভয়ে! বলা হচ্ছে, যা কথা হবে মুখোমুখি। এটাও শোনা গেল, কোনও কোনও কর্তা দু’দিন আগে রাজধানীতে চলে যাচ্ছেন সরকারি বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যেকার বৈঠক সেরে নিতে।
বলা হচ্ছে, লোঢা কমিশনের সামনে নমনীয় মনোভাব দেখানোর আর প্রয়োজন নেই। বরং ভয়ডরহীন ভাবে তার মুখোমুখি হওয়া ভাল। বৃহস্পতিবার কেউ কেউ বললেন, সব আশা যে শেষ এখনই ভাবার কারণ নেই। সবাই একসঙ্গে বসে কথা বললে কিছু না কিছু বেরোতে পারে। রায়ের কোন ব্যাপরটা নিয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনায় যাওয়া যেতে পারে, তা বোঝা যাবে। শুধু একটাই ব্যাপার—নিজেদের সংঘবদ্ধ রাখা। সুপ্রিম কোর্ট রায় নির্দেশিত সংস্কারে এক এক ক্রিকেট সংস্থার সমস্যা এক-এক জায়গায়। কোনও সংস্থায় এত বেশি সত্তরোর্ধ্ব যে, অ্যাসোসিয়েশনই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কেউ আবার আক্রান্ত ন’বছরের নিয়মে। যে, ক্রিকেট প্রশাসনে ন’বছর মানে তোমার প্রশাসনিক কেরিয়ার শেষ। কেউ কেউ বললেন, এই পরিস্থিতিতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন অন্যের সমস্যাকেও নিজেদের সমস্যা বলে ভাবা। যে যে সমস্যার কথা চূড়ান্ত ভাবে লোঢা কমিশনের সামনে ৯ অগস্টের বৈঠকে রাখা হবে, তাতে সার্বজনীন সমর্থন দেওয়া।
যা খবর, বৈঠকে দ্বিতীয় বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। মানে ক্রিকেট প্রশাসনে পদাধিকারীদের সর্বোচ্চ ন’বছর থাকার নির্দেশিকা নিয়ে। খবর আরও একটা আছে, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের পুনরাবির্ভাব। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশেষ সাধারণ সভায় যাঁর নাকি যোগ দেওয়ার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীনি নিজেই শোনা যাচ্ছে তা চাইছেন এবং শ্রীনি অনুগামীদের দাবি ধরলে, কিছু কিছু বোর্ড কর্তা বর্তমান পরিস্থিতিতে কলঙ্কিত বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। কারণ এঁরা কেউ কেউ নাকি মনে করেন, বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে শ্রীনির মতো কূটবুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে পেলে আখেরে লাভই হবে ভারতীয় বোর্ডের!