দলীপ জট খোলার চেষ্টা

ঘরোয়া ক্রিকেটে ছ’মাসে ৯০০ ম্যাচ

ঐতিহ্যশালী দলীপ ট্রফি এ বার হচ্ছে? নাকি হচ্ছে না? ঘরোয়া ক্রিকেট সূচি যদি কোনও সূচক হয়, তা হলে পঞ্চাশ বছরেরও পুরনো ঐতিহ্যশালী ট্রফির ভাগ্য চূড়ান্ত অনিশ্চিত। যে মিডিয়া রিলিজ পাঠানো হয়েছে বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুরের তরফ থেকে সেখানে দলীপ ট্রফির কোনও উল্লেখ নেই। রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি টোয়েন্টি কখন কোনটা হবে, বলা আছে। কিন্তু দলীপ ট্রফি কোথাও নেই। ঠিক তেমনই এটাও বলা নেই কোথাও যে টুর্নামেন্টটা হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৮
Share:

ঐতিহ্যশালী দলীপ ট্রফি এ বার হচ্ছে? নাকি হচ্ছে না? ঘরোয়া ক্রিকেট সূচি যদি কোনও সূচক হয়, তা হলে পঞ্চাশ বছরেরও পুরনো ঐতিহ্যশালী ট্রফির ভাগ্য চূড়ান্ত অনিশ্চিত। যে মিডিয়া রিলিজ পাঠানো হয়েছে বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুরের তরফ থেকে সেখানে দলীপ ট্রফির কোনও উল্লেখ নেই। রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি টোয়েন্টি কখন কোনটা হবে, বলা আছে। কিন্তু দলীপ ট্রফি কোথাও নেই। ঠিক তেমনই এটাও বলা নেই কোথাও যে টুর্নামেন্টটা হচ্ছে না।
যা নিয়ে ভাল রকম সংশয় তৈরি হয়ে যায় টুর্নামেন্ট ভাগ্য নিয়ে। শোনা গেল, পরিস্থিতি যা তাতে এ বারের মতো দলীপ বন্ধ রাখার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে সূচিতে কোথাও রাখা হয়নি টুর্নামেন্টকে।
কেন?
যে ব্যাখ্যাটা পাওয়া যাচ্ছে তা হল, আগামী বছর মার্চে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার কারণে বেশ কিছু টুর্নামেন্টকে এগিয়ে আনতে হচ্ছে বা পিছিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। রঞ্জি ট্রফি যেমন এ বার অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। যা সাম্প্রতিক কালে ঘটতে খুব একটা দেখা যায়নি। বলা হচ্ছে, প্রথমে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার পর সেটা শেষ হতে না হতেই আইপিএল। তার মধ্যে রঞ্জি ট্রফি আছে। বিজয় হাজারে আছে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি টোয়েন্টি আছে। ছ’মাসে এ বার ন’শো ঘরোয়া ম্যাচ করতে হবে বোর্ডকে। তার পর আর দলীপের জন্য স্লট পাওয়া যাচ্ছে না। এ বারের বাজেটেও দলীপ সংক্রান্ত কোনও খরচ ধরা হয়নি। আর বন্ধ থাকলে এ বারের মতোই সেটা থাকবে। পরের বার থেকে বন্ধ থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। আর এ বারও যে বন্ধ থাকছেই, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। বরং চেষ্টা চলছে যে অন্তত দিন দশ-পনেরোর একটা স্লট খুজে বার করার। দেখা হচ্ছে, জাতীয় টি টোয়েন্টির পরে কোনও ভাবে যদি সময় বার করা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে টুর্নামেন্টটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Advertisement

এ দিকে, আসন্ন রঞ্জি ট্রফিতে তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে বাংলা। লক্ষ্মীরতন শুক্লদের প্রথম ম্যাচ ৮ অক্টোবর কর্নাটকের বিরুদ্ধে। ইডেনে রঞ্জিতে বাংলার প্রথম ম্যাচ ১৫ অক্টোবর। হরিয়ানার বিরুদ্ধে। বিজয় হাজারেতে বাংলার প্রথম ম্যাচ ১০ ডিসেম্বর। রঞ্জিতে বাংলার সঙ্গে গ্রুপে আছে ওড়িশা, রাজস্থান, অসম, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি ও বিদর্ভ। পাশাপাশি দেওধর ট্রফির ফর্ম্যাটও পাল্টে ফেলা হচ্ছে। এত দিন অঞ্চলভিত্তিক ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট ছিল দেওধর। যেখানে পাঁচটা অঞ্চলের পাঁচ টিম খেলত। কিন্তু এ বার থেকে সেটা হবে না। তিন টিমের হবে। একটা বিজয় হাজারে ট্রফির চ্যাম্পিয়ন টিম। আর অন্য দু’টো জাতীয় নির্বাচকরা বেছে দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন