কমিশন-বোর্ড বৈঠকের আগে দু’পক্ষে জট

লোঢা কমিশনের সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের সরকারি বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে ৯ অগস্ট। কিন্তু তার আগেই দু’পক্ষে জটিলতা তৈরি হয়ে গেল। লোঢা কমিশনের সচিব গোপাল শঙ্করনারায়ণন এ দিন দু’টো চিঠি পান বোর্ডমহল থেকে। প্রথম প্রেরকের নাম অজয় শিরকে। তিনি বোর্ড সচিব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৬ ০৪:৩১
Share:

লোঢা কমিশনের সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের সরকারি বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে ৯ অগস্ট। কিন্তু তার আগেই দু’পক্ষে জটিলতা তৈরি হয়ে গেল।

Advertisement

লোঢা কমিশনের সচিব গোপাল শঙ্করনারায়ণন এ দিন দু’টো চিঠি পান বোর্ডমহল থেকে। প্রথম প্রেরকের নাম অজয় শিরকে। তিনি বোর্ড সচিব। যিনি রাজ্য সংস্থার নির্বাচন স্থগিত রাখা নিয়ে কমিশন-প্রেরিত পুরনো চিঠির উত্তরে এ দিন ই-মেল করেন যে, বোর্ডের পক্ষে সেটা করা সম্ভব নয়। কারণ কোনও রাজ্য সংস্থার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অধিকার বোর্ডের নেই। তা ছাড়া সে সব সংস্থার সদস্যদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতাও বোর্ডকে দেয়নি কমিশন। দ্বিতীয় প্রেরক— আদিত্যপ্রতাপ বর্মা। বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব। যাঁর চিঠির নির্যাস, লোঢা কমিশন সংস্কারের নির্দেশ ধরালেও কেউ তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। যে সব কর্তাদের লোঢা-নিয়মে সরে যাওয়ার কথা, তারাই বৈঠকের পর বৈঠক ডাকছে। কমিশন সেটা দেখুক। দেখে ব্যবস্থা নিক।

তবে দ্বিতীয়টা নয়। প্রথম চিঠি নিয়েই আপাতত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মুম্বইয়ে বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। যার এজেন্ডায় সুপ্রিম কোর্ট রায় নিয়ে কী করা হবে না হবে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও কথাবার্তা হওয়ার কথা। তার আগে বোর্ড সচিবের এ হেন ই-মেল পাঠানো নিয়ে কেউ কেউ বলছেন যে, এটা আগামী ৯ অগস্টের বৈঠকের আগে বোর্ড স্টান্স নিয়ে একটা বার্তা হলেও হতে পারে। যে, অত সহজে সব বদল সম্ভব হবে না। শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে, সময় বলবে। আপাতত বোর্ডের চিঠির উত্তরে পাল্টা চিঠি চলে এল লোঢা কমিশন থেকে।

Advertisement

কিছু দিন আগে লোঢা কমিশন থেকে বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয় যে, যত দিন না রায় নির্দেশিত সংস্কার কার্যকর হবে, তত দিন রাজ্য সংস্থাগুলোয় নির্বাচন করা যাবে না। যার পরপর সিএবি সহ কয়েকটা রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। যে চিঠির উত্তর সোমবার কমিশনকে পাঠায় বোর্ড। যা এত দিন বাদে আসতে দেখে বিস্মিত কমিশন সচিব গোপাল শঙ্করনারায়ণন বোর্ডকে পাল্টা লেখেন, নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে বোর্ডকে কখনও বলেনি কমিশন। কমিটি ভাল মতো জানে যে বোর্ডের সেই ক্ষমতা নেই। বোর্ডকে শুধু বলা হয়েছিল, নির্দেশটা রাজ্য সংস্থাদের পৌঁছে দিতে। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে তিনি বলেও দেন, ‘‘বুঝতেই পারছি না সংশয়টা কী নিয়ে। বোর্ডকে পাঠানো ই-মেলে পরিষ্কার বলা হয়েছিল যে, কমিশনের নির্দেশটা রাজ্য সংস্থাদের পৌঁছে দিতে। তা হলে বোর্ডের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? বোর্ডের নিঃসন্দেহে ক্ষমতা আছে কমিশনের নির্দেশ বাকিদের জানিয়ে দেওয়ার।’’

এ সবের মধ্যেই আবার বোর্ডের বিরুদ্ধে নতুন ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছেন আদিত্য বর্মা। সোমবার ফোনে বলেও দিলেন, ‘‘রায় কার্যকর করা নিয়ে বিন্দুমাত্র না ভেবে এরা আরও টালবাহানা করে যাচ্ছে। শুধু শরদ পওয়ার বাদে কে সরেছে আজ পর্যন্ত? আমি লোঢা কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছি এটা নিয়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন