আগ্রাসী: ৫৫ বলে ৮০ করে নায়ক শ্রীবৎস। ফাইল চিত্র
জয় দিয়েই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সুপার লিগ শুরু করল বাংলা। শুক্রবার ইনদওরে রেলওয়েজকে ছয় উইকেটে হারাল মনোজ তিওয়ারির দল। এ দিন টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রেলওয়েজ অধিনায়ক অনুরিত সিংহ। ১৪২-৬ স্কোরেই তাদের আটকে দেয় বাংলা। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতে জয়সূচক রান তুলে দেন বাংলার ব্যাটসম্যানেরা।
বাংলাকে জেতাতে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী। ৫৫ বলে তিনি করেন ৮০ রান। ৯টি চার ও দু’টি ছয়ের সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন বাঁ হাতি ওপেনার। মনোজদের দলের অন্যতম ভরসা ঋদ্ধিমান সাহা এ দিন রান পাননি। তিনি ফিরে যান কোনও রান না করেই। অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে দেন শ্রীবৎস। ৪৬ রান করে ঈশ্বরন ফিরে যাওয়ার সময় বাংলার স্কোরবোর্ডে ১০৪ রান। তাই মনোজ (৪) ও শ্রীবৎসের উইকেট পরপর হারানোয় সমস্যা হয়নি দলের।
শুক্রবার অশোক ডিন্ডা, ঈশান পোড়েল, সায়ন ঘোষেরা বোলিংয়ের শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন অভিজ্ঞ পেসার ডিন্ডা। ফিরিয়ে দেন ওপেনার ম্রুণাল দেবধরকে। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট পান সায়ন ঘোষ। বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। মনোজের মতে, বোলাররাই তাঁদের কাজ আরও সহজ করে দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইনদওর থেকে ফোনে বাংলার অধিনায়ক বলেন, ‘‘আমাদের বোলাররা ভাল বোলিং না করলে সহজে জেতা যেত না। মাঝের ওভারগুলোয় প্রদীপ্ত, সায়ন, শাহবাজ ওদের রানের গতি কমিয়ে দেয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলারদের নিয়ে কেউ আলোচনা করে না। কিন্তু এই ফর্ম্যাটে ম্যাচ জেতার জন্য বোলাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
ওপেনার শ্রীবৎসের পারফরম্যান্সে খুশি বাংলার অধিনায়ক। মনোজ চান, প্রতিযোগিতার প্রত্যেক ম্যাচে রান পাক তাঁর ওপেনাররা। বলছিলেন, ‘‘দলের স্টিয়ারিং থাকে ওপেনারদের হাতেই। শুরুটা ভাল হলে পরের ব্যাটসম্যানদের চাপ অনেক কমে যায়। শ্রী আজ সেটা করেই দেখিয়েছে। টি-টোয়েন্টির আদর্শ ব্যাটিং করেছে ও।’’ তাঁর ও ঋদ্ধির আউট নিয়ে মনোজের ব্যাখ্যা, ‘‘ঠিকমতো শট মারতে না পেরে আউট হলাম। ঋদ্ধিও দুর্ভাগ্যবশত রান পেল না। তবে পরের ম্যাচে আমাদের ভাল খেলতে হবে।’’ শনিবারই বাংলাকে নামতে হবে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার যেখানে খেলা হয়, শনিবার সেই মাঠেই খেলা হলেও উইকেট বদলাতে পারে। মনোজের ধারণা, লাল মাটির বদলে কালো মাটির পিচে খেলতে হতে পারে তাঁদের। তাই বাড়তি স্পিনার নিয়ে না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁর কথায়, ‘‘কালো মাটির পিচে বল বেশি ঘোরে না। তাই একজন স্পিনারের বদলে দলে ফিরতে পারে পেস বোলিং অলরাউন্ডার অয়ন (ভট্টাচার্য)।’’
অন্য দিকে, গুজরাতের বিরুদ্ধে উত্তেজনায় ভরা ম্যাচে এক রানে জেতে ঝাড়খণ্ড। দিল্লিকে ৮৩ রানে অলআউট করে বিদর্ভ জেতে ৯ উইকেটে।