অরুণ লালের মন্ত্রে অনুপ্রাণিত সুদীপেরা দলীপে

মরসুমের আগে ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে সোমবার সিএবি-তে এসেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অরুণ লাল। তাঁর সঙ্গে দু’ঘণ্টার ক্লাস করে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন বাংলার সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। 

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৫৫
Share:

স্বাধীনতা দিবসের দিনই দলীপ ট্রফি খেলতে ডিন্ডিগুল উড়ে যাচ্ছেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অশোক ডিন্ডার এই প্রতিযোগিতায় খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও অভিষেক হতে চলেছে বাংলার তিন ক্রিকেটারের। অভিষেক রামন, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও ঈশান পোড়েল। প্রত্যেকেই বলছেন, ‘‘অরুণ স্যরের ক্লাস করে উপকৃত হয়েছি। এ বার ম্যাচে সেই পরামর্শগুলো প্রয়োগ করার পালা।’’

Advertisement

মরসুমের আগে ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে সোমবার সিএবি-তে এসেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অরুণ লাল। তাঁর সঙ্গে দু’ঘণ্টার ক্লাস করে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন বাংলার সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।

দলীপে ভারত ‘গ্রিন’ দলের হয়ে খেলবেন সুদীপ। ডিন্ডিগুল উড়ে যাওয়ার আগের সন্ধ্যায় আনন্দবাজারকে ফোনে সুদীপ বলেন, ‘‘ক্রিকেট অনেকটাই মানসিক খেলা। তাই আগামী মরসুমের আগে অরুণ স্যরের এই ক্লাস আমাদের প্রয়োজন ছিল। গত তিন-চার বছর ধরে দলীপে নিয়মিত খেলছি। টানা দু’বার সেঞ্চুরিও রয়েছে। কিন্তু অরুণ স্যরের টানা ছয় মরসুমে দলীপে সেঞ্চুরি ও পরপর দু’বার ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। নিজের লক্ষ্যটাও সে দিকেই স্থির করছি।’’

Advertisement

প্রথম শ্রেিণর ক্রিকেটে ৪৮ ম্যাচে ৩৩১৪ রান করেছেন সুদীপ। ম্যাচ প্রতি গড় চল্লিশেরও বেশি। তবে এ বার বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার সুযোগ আর পাবেন কি না সে বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ রেলে চাকরি করা ক্রিকেটারদের সেই সংস্থার থেকে ছাড়পত্র নিয়ে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। সুদীপের কথায়, ‘‘বাংলার হয়ে এ বার খেলার সুযোগ পাব কি না সে ব্যাপারে এখন ভাবতে চাই না। তবে একটা চিন্তা তো রয়েইছে।’’

গত বারের রঞ্জি ট্রফি ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে দলীপ ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার তরুণ পেসার ঈশান পোড়েল। চন্দননগরের বিট্টুর সামনে আরও একটি পাহাড় চড়া়র সুযোগ। ভারত ‘রেড’ দলের খেলোয়াড় ঈশান বলেছেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা বরাবরই কাজে লাগবে। এই প্রতিযোতায় নামার আগে পাকিস্তান ম্যাচের কথা খুব মনে পড়ছে। আমি খেলার মধ্যেই রয়েছি। কয়েক দিন আগেই ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছি। তাই কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া, গোলাপি বলে পেসাররা একটু বেশিই সুবিধে পায়।’’ তিনিও মুগ্ধ অরুণ স্যরের ক্লাস করে। বলছেন, ‘‘অরুণ স্যরের মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বারবার পাওয়া যায় না। বড় মঞ্চে কী ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে হয়, তা এই ক্লাসের মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

দলীপে অভিষেক হতে চলেছে রামন ও ঋত্বিকেরও। গত রঞ্জি মরসুমে আট ম্যাচে ৬২৩ রান করেছেন রামন। গত মরসুমে বাংলার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান তিনিই। তবে সুদীপ, ডিন্ডাদের সঙ্গে তিনি যাচ্ছেন না। ভারত ‘ব্লু’ দলের ম্যাচ ২৩ অগস্ট। ২১ অগস্ট তামিলনাড়ু পাড়ি দেবেন তিনি। রামন বলেন, ‘‘প্রথম বার খেলছি ভেবে বাড়তি চাপ নিচ্ছি না। দলীপে খেলার ব্যাপারটা একটা বড় সুযোগ হিসেবেই দেখছি।’’

অন্য দিকে গুজরাতের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ঋত্বিকের কথায়, ‘‘বড় প্রতিযোগিতায় ভাল খেলতে পারলে নির্বাচকদের নজরে চলে আসার সুযোগ রয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই ব্যাট করতে নামব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন