সুপার লিগের স্বপ্ন দেখছেন মনোজরা

বৃহস্পতিবার কটকে দলগত প্রয়াসেই চার পয়েন্ট এল বাংলা শিবিরে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় বাংলাকে। ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তোলে  বাংলা। অভিমন্যু ঈশ্বরন ও মনোজ তিওয়ারির ৮৬ রানের জুটি বাংলার ইনিংসের ভিত তৈরি করে দেয়। ৪১ বলে ৫৯ রান করেন ঈশ্বরন। মনোজ ২৭ বলে ৪২ রান করেন। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পরে এ দিন ২৬ রানেই ফেরেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৯
Share:

সফল: ৩২ রানে চার উইকেট নিয়ে জেতালেন সায়ন। ফাইল চিত্র

ঠিক যেমন চেয়েছিল বাংলা, বৃহস্পতিবারের ফল তেমনটাই হল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে জিততেই হত বাংলাকে। মনোজ তিওয়ারির দল জিতল ২৬ রানে। সেই সঙ্গেই গ্রুপ ‘ডি’-র দ্বিতীয় স্থানে বাংলাকে টিকে থাকতে গেলে হরিয়ানার বিরুদ্ধে হারতে হত অসমকে। অসম হারল সাত উইকেটে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কটকে দলগত প্রয়াসেই চার পয়েন্ট এল বাংলা শিবিরে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় বাংলাকে। ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তোলে বাংলা। অভিমন্যু ঈশ্বরন ও মনোজ তিওয়ারির ৮৬ রানের জুটি বাংলার ইনিংসের ভিত তৈরি করে দেয়। ৪১ বলে ৫৯ রান করেন ঈশ্বরন। মনোজ ২৭ বলে ৪২ রান করেন। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পরে এ দিন ২৬ রানেই ফেরেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা।

মনোজদের পাশাপাশি ১৮ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন বিবেক সিংহ। তাঁদের দাপটই উদ্বুদ্ধ করে বঙ্গ পেসারদের। বিপক্ষের ৯ উইকেট তুলে নেয় বাংলার পেস ত্রয়ী। ৩২ রানে চার উইকেট নেন সায়ন ঘোষ। ২৫ রানে তিন উইকেট ঈশান পোড়েলের। অশোক ডিন্ডার দুই উইকেট। ১৬২-৯ স্কোরে আটকে যায় ছত্তীসগঢ়ের ইনিংস।

Advertisement

সুপার লিগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করার অঙ্ক এখন বাংলার কাছে সোজা। শনিবার ওড়িশাকে হারালেই গ্রুপ ‘ডি’-র দ্বিতীয় দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বাংলা। অধিনায়ক মনোজ বলছিলেন, ‘‘গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার লিগ খেলার রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে। শনিবার ওড়িশাকে হারালে পরের পর্বে চলে যাব। কিন্তু আমাদের বোলারেরা নিজেদের সেরা না দিলে এই ম্যাচ হয়তো জেতা হত না।’’ আরও বলেন, ‘‘এই উইকেটে ১৮৮ রানের কমে বিপক্ষকে আটকে দেওয়া সোজা নয়। সায়ন, ঈশান, ডিন্ডা প্রত্যেকেই ভাল বল করেছে।’’

মনোজ তাঁর বোলারদের কৃতিত্ব দেওয়ার সঙ্গে অভিমন্যুর ইনিংসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বললেন, ‘‘আমাদের রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস খুব ভাল ছিল। বড় জুটি গড়ার এটাই মূল কারণ।’’ অভিমন্যু বললেন, ‘‘মনোজদার সঙ্গে ব্যাট করার সুবিধে রয়েছে। যখন আমি বেশি মারতে পারি না, তখন ও রান বার করে দেয়। চাপ হাল্কা করতে খুব সাহায্য করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন