মরিয়া: শেষ দু’ম্যাচের জয় আজও ধরে রাখতে চান মনোজ। ফাইল চিত্র
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে আজ গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ বাংলার। প্রতিপক্ষ ওড়িশা। এই ম্যাচ জিততে পারলে সরাসরি সুপার লিগে যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলা। না জিতলে তাকিয়ে থাকতে হবে হরিয়ানা বনাম কর্নাটক ম্যাচের দিকে। হরিয়ানা হারলে উঠে আসবে নেট রান রেট প্রসঙ্গ।
ছয় ম্যাচ শেষে বাংলার নেট রান রেট ২.০৬। হরিয়ানার ১.১৯। দুই দলেরই পয়েন্ট ১৬। এক ম্যাচ বেশি হেরে ১২ পয়েন্ট ওড়িশার। যে অসম বাংলাকে হারিয়েছে। তাদের সাত উইকেটে হারিয়েছে ওড়িশা। ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছে তারা। তাই বিপক্ষ দলকে সমীহ করেই নামছে মনোজ তিওয়ারির দল।
বাংলার কোচ অরুণ লাল এই ম্যাচকে ফাইনালের গুরুত্ব দিচ্ছেন। কটক থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘কোনও অঙ্ক মাথায় রাখতে চাই না। শুধু চার পয়েন্ট চাই। শেষ দুই ম্যাচ জিতে ছন্দে ফিরেছি আমরা। ওড়িশার বিরুদ্ধে সেটাই ধরে রাখতে হবে।’’
ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে বাংলা যে দল নিয়ে নেমেছিল, ওড়িশার বিরুদ্ধেও সেই দল নিয়েই নামছে মনোজ-বাহিনী। অধিনায়ক মনে করেন, প্রথমে ব্যাট করে ১৮০ রান তুলে দিতে পারলে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় থাকা যাবে। মনোজ বলছিলেন, ‘‘বরাবাটি স্টেডিয়ামে পিচের চরিত্র এক রকম থাকছে না। উইকেটের কয়েকটি জায়গায় ফাটল রয়েছে। সেই ফাটলের উপরেই সবুজ ঘাস রয়েছে। তাই বোঝা যাচ্ছে না পিচ কী রকম আচরণ করবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘যদিও দলে কোনও বদলের কথা ভাবা হয়নি। গত ম্যাচের দল নিয়েই নামার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে ব্যাট করে ১৭০ রান থেকে ১৮০ রান তুলতে পারলে বিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে।’’
ওড়িশার অন্যতম শক্তি তাঁদের বাঁ হাতি স্পিনার পাপ্পু রায়। অসমের বিরুদ্ধে ২১ রানে চার উইকেট পেয়েছেন। তাঁর সব চেয়ে বড় সুবিধা, বাংলার বেশির ভাগ ক্রিকেটারের সঙ্গেই তিনি খেলেছেন। দু’বছর আগেও সিএবি-র প্রথম ডিভিশন লিগ খেলে গিয়েছেন। এরিয়ান, পুলিশ এসি-র হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে পাপ্পুর। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন ওড়িশার অলরাউন্ডার বিপ্লব সামন্তরায়। তিনিও ভাল ফর্মেই রয়েছেন। মনোজ অবশ্য বিপক্ষের শক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। নিজের দল নিয়েই ভাবছেন। বললেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে সব দলই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনও দলকেই ছোট করে দেখতে চাই না। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব।’’
এ দিকে শনিবার মুস্তাক আলি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলা শিবিরে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠল বোলিং কোচ রণদেব বসুকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে দলের অভিজ্ঞ পেসার অশোক ডিন্ডার সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের বাংলা ধারাভাষ্য দিতে শুক্রবার রণদেব মুম্বইয়ে চলে যাওয়ায় বাংলা শিবিরে তাঁকে নিয়ে অসন্তোষ আরও বাড়ে।
শুক্রবার ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন ছিল না বাংলার। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বাংলার বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরা। সঙ্গে গিয়েছিলেন কোচ অরুণও। কিন্তু মনোজ ও ঋদ্ধিমান সাহা হোটেলেই বিশ্রাম নিয়েছেন।