টিমের সব চেয়ে ধারাবাহিক স্ট্রাইকার জিতেন মুর্মুর নিয়মের গেরোয় আটকে নথিভুক্ত না হতে পারায় তীব্র সমস্যায় বাংলা।
আজ দোলের দিন রবিবার সন্তোষ ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলা। প্রতিপক্ষ চণ্ডীগড়। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগের দিন শনিবার রাতে গোয়া থেকে ফোনে বাংলার কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধায়ের গলায় রীতিমতো আর্তনাদ। বলছিলেন, ‘‘আমার হাতে তো স্ট্রাইকারই নেই। জিতেনকে তৈরি করে এনেছিলাম। ওকে ধরেই ফর্মেশন তৈরি করেছিলাম। ম্যাচের আগে সব ওলট পালট হয়ে গেল। আমার দুর্ভাগ্য। কী হবে জানি না।’’
মূলপর্বে বাংলাকে তোলার মূলে অন্যতম কারিগর ছিলেন জিতেন-ই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তাঁকে আই লিগে নথিভুক্ত করে ফেলায় তিনি আর খেলতে পারছেন না গোয়ায়। যা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ জিতেন এতদিন ধরে বাংলায় অনুশীলন করলেও তিনি নিজে বা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর আই লিগে নথিভুক্তির কথা জানানোই হয়নি আইএফএ-কে। জিতেন ফিরে আসার পর যাঁকে পাঠানো হয়েছে কলকাতা থেকে সেই শেখ ফৈয়াজ বহুদিন টিমের সঙ্গে খেলেননি। ফলে তাঁকে নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না বাংলার কোচ। তাঁর বদলে ৪-৪-২ ফর্মেশনে মনবীর সিংহের সঙ্গে সামনে রাখা হচ্ছে বসন্ত সিংহকে। বসন্ত আসলে মিডিও। ‘‘আমার কিছু করার নেই। মিডিও বসন্তকেই স্ট্রাইকার করতে হচ্ছে,’’ বলছিলেন মৃদুল।
সেমিফাইনালে যাওয়ার ছাড়পত্র পেতে সংগঠক গোয়া, শক্তিশালী সার্ভিসেস এবং চণ্ডীগড়ের সঙ্গে খেলতে হবে বাংলাকে। এবং এই পরিস্থিতিতে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে বাংলার জেতা জরুরি। বাংলা কোচ বললেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি অফিস লিগে খেলে এ রকম কিছু ফুটবলার আছে ওদের টিমে। আই লিগে খেলা মিনার্ভা দলের জুনিয়র টিমেরও কিছু ছেলে আছে বলে জেনেছি।’’
গোয়ার নভোলিনের যে মাঠে বাংলার খেলা ফেলা হয়েছে সেটা বেশ ছোট। মুমতাজ আখতারদের ওই মাঠে উইং প্লে করা কঠিন। সেটা মাথায় রাখছে বাংলা। সে জন্যই খেলা চলার সময় ফর্মেশনের কিছু বদল আনতে পারেন বহুদিন ময়দানে কোচিং করানো মৃদুল। কিন্তু তাঁর স্ট্রাইকার সমস্যা তাতে কতটা মেটে সেটাই দেখার।