শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখে পড়তেই ভেঙে পডল বাংলা। বৃহস্পতিবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচে দুর্বল মিজোরামকে উড়িয়ে দেওয়ার পরের দিনই কর্নাটকের কাছে ৯ উইকেটে হারল বাংলা। কুড়ি ওভারের খেলায় ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। মাত্র ১৩ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট।
রঞ্জি ট্রফি ও জাতীয় ওয়ান ডে প্রতিযোগিতা বিজয় হজারে ট্রফিতে ব্যর্থ হওয়ার পরে দলের খোলনলচে পাল্টে জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিতে যাওয়ায় অনেকে ভেবেছিলেন তরুণরা হয়তো ভাল কিছু করে দেখাবেন। কিন্তু শুক্রবার কটকের ড্রিমস গ্রাউন্ডে ফের সেই আত্মসমর্পণের ছবিটাই ভেসে উঠল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অভিমন্যু ঈশ্বরন (১৬) ও ঋদ্ধিমান সাহা (৬) কম রানে ফিরে যান। বাংলাকে চার উইকেটে ১১৮ রানের স্কোরে পৌঁছে দেন শ্রীবৎস গোস্বামী (২৯ বলে ৪০) ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (৩৭ বলে ৩৬)। তার পরেই ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং। শেষ ছয় ব্যাটসম্যান ফিরে যান মাত্র ২২ বল ও ১৩ রানের মধ্যে। এঁদের মধ্যে মনোজ ছাড়াও ঋত্বিক রায়চৌধুরী (১৭), প্রদীপ্ত প্রামাণিক (১) ও প্রয়াস রায়বর্মন (১) ছিলেন, যাঁদের থেকে ভাল ব্যাটিং আশা করাই যায়।
কটক থেকে ফোনে হতাশ অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘শুরুটা ভাল করেও আমরা বেশি রান তুলতে পারলাম না। উপযুক্ত শট খেলতে না পারাই কারণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শট বাছাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞতার অভাবেই এটা হল। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে আরও ভাল খেলতে হবে আমাদের।’’ বোলিং, ফিল্ডিং নিয়েও সন্তুষ্ট নন বাংলার অধিনায়ক। বোলারেরা এ দিন প্রচুর রান দেন। অশোক ডিন্ডা দু’ওভারে ২২, প্রয়াস দু’ওভারে ১৯, প্রদীপ্ত তিন ওভারে ২৮ ও সায়ন ঘোষ ১৭ বলে ২৭ রান দেন। মনোজ বলেন, ‘‘পাওয়ার প্লে-তে আমরা অনেক রান দিয়ে দিয়েছি। বোলিং, ফিল্ডিং কোনওটাই ভাল হয়নি।’’ তার উপর ডিন্ডা দু’ওভারের বেশি বোলিং করতে পারেননি কুঁচকির চোটের জন্য। রবিবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন তিনি।
কর্নাটকের দুই ওপেনার রোহন কদম (৫৫ বলে অপরাজিত ৮১) ও বি আর শরৎ (৩৭ বলে ৫০) ১১৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান।