জঙ্গলমহলের ছেলে কৃষ্ণ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
মূক-বধিরদের অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে তুরস্ক রওনা হলেন গোয়ালতোড়ের যুবক কৃষ্ণ মাহাতো। রবিবার সকালে দিল্লি থেকে তুরস্কের বিমান ধরেছেন তিনি। আগামী ১৮-৩০ জুলাই তুরস্কের সামসুন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ‘সামার ডেফ অলিম্পিক’। ২৩ ও ২৪ জুলাই কৃষ্ণের ইভেন্ট দৌড়।
গত ২৮-৩১ মার্চ চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ২১তম ‘ন্যাশানাল গেমস ফর ডেফ’-এ ১০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় ও ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন জঙ্গলমহলের ছেলে কৃষ্ণ। তারপর ৭-৮ জুন গুজরাতের গাঁধীনগরে সাই স্টেডিয়ামে ‘সামার ডেফ অলিম্পিক’-এর বাছাই শিবিরে যোগ দেন কৃষ্ণ। সেখানে নির্বাচিত হওয়ার পরে হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে গুজরাত থেকে শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছন কৃষ্ণ। তারপর এ দিন সকালে তুরস্ক রওনা দেন তিনি।
প্রতিবন্ধকতা জয় করে জাতীয় স্তরে অনেক প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছেন কৃষ্ণ। ২০১৩ সালে বুলগেরিয়াতে ‘সামার ডেফ অলিম্পিক’-এ যোগ দেওয়ার জন্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু অনুশীলনে পায়ে চোট পাওয়ায় সে বার আর প্রতিযোগিতায় যেতে পারেননি। তবে ২০১৫ সালে তাইওয়ানে আয়োজিত এশিয়া কাপে দৌড় বিভাগে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছিলেন বছর একুশের এই যুবক।
কৃষ্ণের বোন টুসু মাহাতো বলছিলেন, ‘‘জন্ম থেকেই দাদা কথা বলতে পারে না, শুনতেও পায় না।’’ তবে কৃষ্ণ প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। যদিও তাঁর প্রথম ভালবাসা দৌড়। কলকাতায় থেকে সাইতে অনুশীলনও করেছিলেন। এ বার কৃষ্ণ মূক-বধিরদের অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তাঁকে নিয়ে আশাবাদী পরিবার। কৃষ্ণের বাবা ভরতচন্দ্র মাহাতোর কথায়, ‘‘গুজরাতের সাই-তে থেকে প্রায় দেড় মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছে ছেলে। আশা করি অলিম্পিকে ও ভাল ফল করবে।’’