বাংলার রঞ্জি অভিযান কি শনিবারই শেষ?
বাংলা-গুজরাত ম্যাচ রিপ্লে নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত যদি বিচার্য হয়, তা হলে শেষ। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচে বাংলা তিন পয়েন্ট পেয়ে শেষ করল। দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল ব্যাট করলেন ওপেনাররা। অভিষেক রামন ৯১। প্রসেনজিৎ দাস ৭২। মনোজ তিওয়ারি অপরাজিত ৫০। কিন্তু তাতে আর লাভ কী? বাস্তব হচ্ছে, ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে বাংলার রঞ্জি এ বারের মতো শেষ। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি কোনও ভাবে এখন রিপ্লে বার করতে পারেন, বঙ্গ আশার পুনর্জন্ম ঘটতে পারে। নইলে সব শেষ।
শোনা গেল, বাংলার মতো হায়দরাবাদও রিপ্লে চেয়ে গতকাল একটা চিঠি দিয়েছে বোর্ডকে। প্রথমে বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটি দু’টো ম্যাচেরই রিপ্লে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে শরদ পওয়ারের মুম্বই ও তামিলনাড়ুর চাপে পড়ে সিনিয়র টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠক ডাকতে বাধ্য হয় বোর্ড। এবং সিনিয়র কমিটি পুরো সিদ্ধান্তটাই ঘুরিয়ে বলে দেয়, বাংলা-গুজরাত ও হায়দরাবাদ-ত্রিপুরা দু’টো ম্যাচেরই রিপ্লে হবে না। পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। চারটে টিমই পাবে এক পয়েন্ট করে। সেই হায়দরাবাদ এখন ফের রিপ্লে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বোর্ডের কাছে। কিন্তু বোর্ড এখনও নিরুত্তর। নতুন করে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক ডাকার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্যই করছেন না বোর্ডকর্তারা।
রিপ্লে নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হলে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক ডাকতে হবে বোর্ডকে। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে রোজই কথা হচ্ছে বোর্ড কর্তাদের। কিন্তু এখনও সেই বৈঠক নিয়ে কোনও খবর নেই। সিএবি প্রেসিডেন্টই টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান। সিএবি-তে এ দিন সৌরভ বললেন যে, ‘‘রিপ্লে নিয়ে এখনও আশা আছে। আমি অন্তত এখনও ছাড়িনি। সময়ও আছে।’’ সিএবি ধরছে, সম্ভাবনা পঞ্চাশ-পঞ্চাশ। তবে হায়দরাবাদের চিঠিতে যে বাংলার দাবি একটু হলেও শক্ত হবে, সন্দেহ নেই।
‘সি’ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে হায়দরাবাদের এই রিপ্লে দরকার। সেক্ষেত্রে ওই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলেই তারা গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। সেই জন্যই এই চিঠি। কিন্তু বোর্ডের অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছেন, যখন পয়েন্ট দরকার, তখনই কেন আবেদন করা হচ্ছে? আগে থেকে কেন করা হয়নি?
বোর্ড রিপ্লে ম্যাচ দিয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে। অর্থাৎ আর পাঁচ দিন পরেই। এখন যদি ফের রিপ্লের একই দিন ঘোষণা করা হয়, তা হলে তা রবিবারের মধ্যেই করা উচিত। কিন্তু এই নিয়ে কোনও বৈঠকের খবর শনিবার রাত পর্য়ন্ত নেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলা ৪৭৫-৯ ডিঃ এবং ২৬১-২ (রামন ৯১, প্রসেনজিৎ ৭২),
মধ্যপ্রদেশ ৩৭০ (সায়ন ঘোষ ৫-৯৪)।