প্রো কবাডি লিগে তাঁর টিম জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের সঙ্গে বিরতিতে অভিষেক বচ্চন। শনিবার নেতাজি ইন্ডোরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
শুরুর আগে ঠিক যতটা উচ্ছ্বাস নিয়ে দর্শকের আসনে বসেছিলেন, ততটাই হতাশ দেখাল খেলার পর। অভিষেক বচ্চনকে। জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্সের মালিককে। শনিবার প্রো কবাডি লিগে তাঁর টিমকে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ৩২-২৫ হারিয়ে দেওয়ায়।
জুনিয়র বচ্চনের হতাশ হওয়ারই কথা। কেন না একে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স আট ম্যাচের মধ্যে এ মরসুমে ছ’টা হেরে লাস্টবয় হিসেবে খেলতে নেমেছিল এ দিন। তার উপর অভিষেকের টিম ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে টেবলের শীর্ষে ছিল ৩১ পয়েন্ট নিয়ে। তা সেই ফার্স্ট বয়কেই যে লাস্টবয় ঘরের মাঠে এ ভাবে হারাবে হয়তো ভাবতেই পারেননি জুনিয়র বচ্চন। তাই ম্যাচের পর হতাশ হয়েই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁকে।
শুরুতে অবশ্য বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছিল জয়পুর। বিরতির আগে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সকে তাদের কোরীয় প্লেয়ার জাং কুন লি এগিয়ে দেন আক্রমণে এক ঝটকায় ছ’পয়েন্ট এনে দিয়ে। প্রথমার্ধে সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি জয়পুর। বিরতিতে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স এগিয়ে ছিল ১৮-১৩। অভিষেক এই সময় ভিআইপি গ্যালারি থেকে দলের প্লেয়ারদের তাতাতে নিজেই উঠে আসেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। আক্রমণে লি দের টানা পয়েন্ট তুলে যাওয়া আর জমাট ডিফেন্সে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স সাত পয়েন্টের ব্যবধানে জিতে যায়।
ঘরের মাঠের সমর্থন না স্ট্র্যাটেজির মার ঠিক কোন জায়গায় ‘টেবল টপার’দের এ ভাবে হারাতে পারলেন তাঁরা, জানতে চাইলে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের কোচ প্রতাপ শেট্টি বলেন, ‘‘আসলে আমরা আগের ম্যাচগুলোয় প্রথমে এগিয়ে গিয়েও লিডটা ধরে রাখতে পারছিলাম না। আজ তাই ঠিক করেছিলাম শুরু থেকেই আক্রমণ করব। সেটাই খেটে গেল।’’