বেঙ্গালুরুর ইউজিনকে আটকাচ্ছেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। ছবি: সংগৃহিত।
এএফসি কাপ ফাইনাল
এয়ার ফোর্স ক্লাব ১ (হামাদি)
বেঙ্গালুরু এফসি ০
সুনীল ছেত্রীদের সব লড়াই শেষ হয়ে গেল ৭১ মিনিটে। তার আগে পর্যন্ত ঐতিহাসিক ম্যাচে লড়াই ছিল সমানে সমানে। কখনও বেঙ্গালুরু বক্সে এয়ার ফোর্সের বিমান হানা তো কখনও ভারতীয় সৈনিকদের পাল্টা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে একবারও মনে হয়নি এই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব খেলছে এএফসি কাপের ফাইনালে। কখনও সুনীলদের দেখে মনে হয়নি সহজ হবে তাঁদের হারানো। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেই ইতিহাস গড়েছিল তিন বছরের বেঙ্গালুরু এফসি। চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়া না হলেও যে ফুটবল খেললেন লিংদো, জনসন, লেনরা সেটা মনে রাখবে ভারতীয় ফুটবল। হয়তো ভারতীয় ফুটবলের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক হবে বেঙ্গালুরুর এই উত্থান।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বেঙ্গালুরু। সুনীলকে সামনে রেখে দল সাজিয়েছিলেন কোচ। তার পিছনেই ইউজিন, বিনিথ, অলউইনের মতো তিন আক্রমনাত্মক মিড ফিল্ডার। রক্ষণের সামনে দু’জন ব্লকারকে রেখেছিলেন বেঙ্গালুরু কোচ। দলের শেষরক্ষণ রালতেকে যদিও একাধিকবার দলের পতন আটকাতে হল। ম্যাচে প্রথম বেঙ্গালুরুর সামনে সুযোগ আসে ৩০ মিনিটে। অলউিন জর্জের মাপা ক্রস পিছন থেকে এসে হেড করেন লিংদো। কিছুটা লং হয়ে গেলেও সুযোগের জন্য ছটফট করা সুনীল সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ রক্ষণে আটকে যায় সেই প্রচেষ্টা। প্রথম সুযোগ কাজে না লাগলেন ম্যাচের দখল তখন অনেকটাই বেঙ্গালুরুর হাতে চলে গিয়েছে। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র তিন মিনিট আগে আরও একটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন ছেত্রী, অলউইনরা।
প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূ্ন্য ভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে এয়ার ফোর্স। আক্রমণে ঝাঁঝ বারে। তার মধ্যেও গোলের সুযোগ তৈরি করে যায় বেঙ্গালুরু। সঙ্গে রালতের পর পর সেভ। কিন্তু ৭১ মিনিটে শেষ হয়ে যায় সব আশা। হামাদি আহমেদ আবদুল্লাহর গোলেই শেষ হয়ে যায় নতুন ইতিহাস তৈরির সব স্বপ্ন। গোল খেয়ে গোলের জন্য বার বার ঝাপিয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি বেঙ্গালুরু।
আরও খবর
সুনীলরা আমার বাজি, নিশ্চিত নই এটিকে নিয়ে