প্রস্তুতি: নক আউটের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছেন সুনীলরা। ছবি: টুইটার
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) লড়াইটা এ বার প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। যে চারটে টিম প্লে অফে উঠেছে, তারা বাকিদের চেয়ে ধারাবাহিকতা ভাল দেখিয়েছে। সে জন্যই শেষ চার দলের মধ্যে থাকতে পেরেছে। এ বার লড়াই চলে এল নক আউটে।
বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে লড়াইটা এফসি পুণে সিটি বনাম বেঙ্গালুরু এফসি-র। যে সেমিফাইনালের লাইন আপটা দেখলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে, বেঙ্গালুরু এগিয়ে শুরু করবে। কাগজে কলমে ওরাই ফেভারিট। কিন্তু বেঙ্গালুরু যতই টুর্নামেন্টের সেরা দল হোক না কেন, এই ম্যাচে কিন্তু সব অঙ্ক নাও মিলতে পারে। এটা সম্পূর্ণ অন্য ধরনের খেলা হবে।
আপনি যদি বালেওয়ারি স্টেডিয়ামের ইতিহাস দেখেন, তা হলে দেখবেন, যে দলগুলো খেলা ছড়িয়ে দিতে চায় তারা এই ছোট মাঠে সমস্যায় পড়ে যায়। যে দলগুলো ফ্ল্যাঙ্ক কাজে লাগাতে চায়, তারা সমস্যা পড়ে যায়। বেঙ্গালুরু দলে সুনীল ছেত্রী, উদান্ত সিংহের মতো ফুটবলার আছে যারা মাঠের সাইডগুলো কাজে লাগাতে ভালবাসে। এই ছোট মাঠে কিন্তু ওদের সমস্যা হতে পারে।
ইতিহাস অবশ্য বেঙ্গালুরুর দিকেই আছে। কারণ, পুণেতে যখন দু’টো দল আগে খেলেছিল, বেঙ্গালুরু ৩-১ গোলে জেতে। তবে সেই হার থেকে পুণে নিশ্চয়ই কিছু শিখেছে। আমার মনে হয়, ওদের ডিফেন্সকে আরও জমাট করতে হবে। সে ব্যাপারটা ওদেরও মাথায় থাকবে। তবে পুণের এই ছোট মাঠ কিন্তু ঘরের দলকেও সমস্যা ফেলে দিতে পারে। কারণ পুণের দলটা আক্রমণ করতে ভালবাসে। এমিলিয়ানো আলফারো এবং মার্সেলো পেরেইরার জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে টুর্নামেন্টে। দু’জনের জুটিতে ১৭ গোল এসেছে। ওদের আটকানো কিন্তু বেশ কঠিন কাজ। টুর্নামেন্টের বাকি দলগুলো সেটা ভালমতোই টের পেয়েছে।
এই প্রথম শেষ চারে উঠেছে পুণে। ফলে ওরা টগবগে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। বেঙ্গালুরুর কাজটা কঠিন করে দেওয়ার জন্য পুণে মরিয়া হয়ে উঠবে। এমনকী ওরা ম্যাচটা জিতে গেলেও আমি অবাক হব না। তবে মনে হচ্ছে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র-ই হয়ে যাবে।
পুণেকে অবশ্য খুবই সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত উত্তেজনায় ভুল করে বসলে চলবে না। এই ধরনের ম্যাচে যেটা ঘটা খুবই সম্ভব। পুণে সিটির আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী। ওরা ঠিক গোলের সুযোগ পাবে। যে কোনও দলের বিরুদ্ধে ওরা গোলের সুযোগ তৈরি করার ক্ষমতা ধরে। গোলপোস্টের নীচে গুরপ্রীত ওদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে জমজমাট ম্যাচ দেখার আশায় আছি।