ক্লাবে পতাকা তুলে উচ্ছ্বসিত নতুন লিগ চ্যাম্পিয়নরা।-নিজস্ব চিত্র
মুহুর্মুহু চিৎকার উঠছে ক্লাবের ড্রেসিংরুমের ভেতর থেকে। এতটাই যে, বাইরে অনেকটা দূর থেকেও শোনা যাচ্ছে— ‘থ্রি চিয়ার্স ফর ভবানীপুর ক্লাব’!
ড্রেসিংরুমের বাইরের দেওয়ালে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের নানা খুশির মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ছবি। তবে সব ক’টাই ভবানীপুরের ফুটবল টিমের সৌজন্যে।
সেগুলোর পাশে এ বার ক্রিকেটেও সোনার মুহূর্ত তৈরি করে ফেললেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, পার্থসারথি ভট্টাচার্যরা। শুক্রবার ভবানীপুর ক্লাবকে প্রথম বার সিএবি লিগ চ্যাম্পিয়ন করে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূর অস্ত, এর আগে সিএবি ক্রিকেট লিগের ফাইনালেও কোনও বার ওঠেনি ভবানীপুর। তারাই এ দিন সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাস মাঠে চূড়ান্ত লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল ১৪৩ রানে। যাদের কাছে এ বারের স্থানীয় মরসুমেই প্রথম টুর্নামেন্ট এএন ঘোষ ট্রফির ফাইনালে হেরেছিল ভবানীপুর। বদলার ফাইনালে তাদের ৩৩৬-৮-এর জবাবে ইস্টবেঙ্গল অলআউট ১৯৩-এ। জয়ের নায়ক পার্থসারথি ভট্টাচার্যের (১৩৯ রান) পাশাপাশি তাদের বাঁ-হাতি স্পিনার অরিত্র চট্টোপাধ্যায় (৫-৬৬) ও পেসার রবিকান্ত সিংহ-ও (৪-১৪)।
পার্থসারথি-রবিকান্ত গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে ভবানীপুর এসেছেন। পুরনো টিমের দুর্বলতা জানাটা কি তাই ফাইনালে সাহায্য করল? পার্থসারথি বললেন, ‘‘কিছুটা তো বটেই। ইস্টবেঙ্গলে তো পাঁচ বছর খেলেছি। লক্ষ ছিল ফাইনালে ক্রিজে যতক্ষণ পারব পড়ে থাকব।’’ আর এ রকম তরুণ একটা দলকে ৩৭ টিমের সঙ্গে লড়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পর ভবানীপুরের কোচ আব্দুল মুনায়েম বললেন, ‘‘ছ’বছর ভবানীপুরকে কোচিং করাচ্ছি। এই দলটা থেকে যদি বাংলার হয়ে পরের মরসুমে কেউ ভাল পারফর্ম করে সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’’