বাইরে থাকলেও শ্রীনি মতেরই জয়

বার্ষিক সভায় ‘এক রাজ্য এক ভোট’ প্রথা চালু করা, সরকারি সংস্থাগুলির (যেমন রেল, সার্ভিসেস) সদস্যপদ খারিজের সুপারিশে সায় নেই বেশির ভাগের। তিন সদস্যের জাতীয় নির্বাচক কমিটি গঠন ও নয় সদস্যের অ্যাপেক্স কাউন্সিল গঠন নিয়েও আপত্তি রয়েছে অনেকেরই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ১২:০০
Share:

বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় না থাকলেও বাইরে থেকেই প্রভাব অক্ষত রাখলেন এন শ্রীনিবাসন! ফলে নয়াদিল্লির সভায় হাত শক্ত হল শ্রীনি গোষ্ঠীরই।

Advertisement

এ দিন লোঢা কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলোই মানতে নারাজ বোর্ড সদস্যরা। যার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট প্রশাসনে সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের থাকতে না পারার মতো গুরুতর বিষয়ও। বোর্ডের অনুমোদিত সংস্থার শীর্ষকর্তারা জানিয়ে দেন, বিচারপতি লোঢা ও তাঁর কমিশনের পাঁচটি অন্যতম প্রধান সুপারিশ কার্যকর করা বাস্তবসম্মত নয়। অধিকাংশ সংস্থাই এগুলির বিপক্ষে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে শ্রীনি-র সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে এক জোট হয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর, অজয় শিরকে, নিরঞ্জন শাহরা। সে কারণেই শ্রীনি মতের জয় বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্ষিক সভায় ‘এক রাজ্য এক ভোট’ প্রথা চালু করা, সরকারি সংস্থাগুলির (যেমন রেল, সার্ভিসেস) সদস্যপদ খারিজের সুপারিশে সায় নেই বেশির ভাগের। তিন সদস্যের জাতীয় নির্বাচক কমিটি গঠন ও নয় সদস্যের অ্যাপেক্স কাউন্সিল গঠন নিয়েও আপত্তি রয়েছে অনেকেরই। শীর্ষ কর্তাদের বয়সের সীমা ৭০ বছর করা ও ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁদের পদের মেয়াদ (রাজ্য সংস্থা ও বোর্ডে) ৯ বছর করা ও প্রতি তিন বছর অন্তর তিন বছরের ‘কুলিং পিরিয়ড’-এর সুপারিশও বাস্তবসম্মত নয় বলে অধিকাংশের মত। এ ছাড়া মন্ত্রী ও সরকারি আমলাদের ক্রিকেট প্রশাসনে থাকতে না দেওয়ার যে সুপারিশ করেছে লোঢা কমিশন, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে।

Advertisement

শোনা যাচ্ছিল, বোর্ডের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তারা বয়সসীমা সংক্রান্ত সুপারিশ মেনে নিতে রাজি আছেন। লোঢার কোন সুপারিশে আপত্তি রয়েছে, তা বাছতে বোর্ডে যে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটিও বয়সসীমার বিষয়টি রাখেনি তাদের তালিকায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বোর্ডের সদস্যদের মত অন্য। অর্থাৎ এন শ্রীনিবাসন ও নিরঞ্জন শাহ-র মতো সত্তরোর্ধ্ব কর্তাদের ক্রিকেট প্রশাসনে টিকে থাকার আশা জিইয়ে রইল। আদালতের নির্দেশে এ দিনের সভায় দুই কর্তাকে থাকতে দেওয়া হয়নি।

এ দিন তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ভিপি নরসিংহন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। অনুমোদিত সংস্থাগুলির শীর্ষকর্তাদেরই শুধু সভায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। ওড়িশা ও পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষকর্তারা না আসায় এই দুই সংস্থা এ দিনের সভায় প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আদালতের নির্দেশে এ দিন সভায় থাকতে দেওয়া হয়নি বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি-সহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মীদের। উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের স্বীকৃতিপত্র পরীক্ষা করেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরী। যেগুলো সাধারণত বোর্ডের কর্মীরাই করে থাকেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন