ISL

মার্কি-মোহ বাদ, অসমেও অ্যাকাডেমি খোলার প্রস্তাব জনের

মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে দলের জার্সি উদ্বোধন করে জন বলেন, ‘‘মার্কি ফুটবলের নামে ৩৬ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের পিছনে ছুটে খামোকা টাকা নষ্ট হয়েছে। তাঁরা সেরা সময় পার করে এসেছেন। ৯০ মিনিট খেলতে পারেন না। তাই এ বার আমাদের দলে মার্কি খেলোয়াড় নেই। তরুণ খেলোয়াড় বেশি নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৪১
Share:

জন আব্রাহাম। ছবি: সংগৃহীত।

খামোকা ‘মার্কি সিনড্রোম’-এ না ভুগে, টগবগে, তরুণ ফুটবল দল তৈরিই নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (এনইইউএফসি)-র মালিক জন আব্রাহাম ও কোচ জোয়াও কার্লোস পিরেস দে দেউসের লক্ষ্য।

Advertisement

মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে দলের জার্সি উদ্বোধন করে জন বলেন, ‘‘মার্কি ফুটবলের নামে ৩৬ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের পিছনে ছুটে খামোকা টাকা নষ্ট হয়েছে। তাঁরা সেরা সময় পার করে এসেছেন। ৯০ মিনিট খেলতে পারেন না। তাই এ বার আমাদের দলে মার্কি খেলোয়াড় নেই। তরুণ খেলোয়াড় বেশি নেওয়া হয়েছে।’’

৪০ বছর বয়সী পর্তুগালের কোচ জোয়াওয়ের কেরিয়ার তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। দেশেও দ্বিতীয় ডিভিশনের বেশি খেলেননি। কোচ হিসেবেও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। আবার এনইইউএফসি দলের ইতিহাসও খুবই খারাপ। প্রথম বছর সকলের নীচে স্থান। পরের দু’বারও প্লে-অফের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত জনের দল। বারবার কোচ বদল করেও দলের ভোল বদল হয়নি। এবারে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জন বলেন, ‘‘ফুটবল আমার কাছে সাইড বিজনেস নয়। আমি সানগ্লাস এঁটে, বক্সে খেলা দেখতে আসা মালিক নই। কোচ বাছাই থেকে খেলোয়াড় বাছাই, অ্যাকাডেমি তৈরি— সব বিষয়ে আমি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। দল হারলে আমি কাঁদি। তাই জয়ের জন্য এবার মরিয়া।’’ কোচ প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত জন বলেন, ‘‘সবার আগে আমাদের কোচ ভারতে এসেছেন। আমার সঙ্গে শিলংয়ের ফুটবল অ্যাকাডেমি, ইম্ফল ঘুরে কিশোর ফুটবলারদের স্পট করেছেন। এমনকী, পরের বারের আইএসএলের জন্যেও এখন থেকেই তরুণদের চিহ্নিত করেছেন তিনি। এবারের দলটি তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা। আমরা অ্যাটাকিং ফুটবলই খেলব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ৬০ বছর পর বিশ্বকাপে নেই ইতালি, অবসর ঘোষণা বুফনের

আরও পড়ুন: আই লিগের সূচি প্রকাশ করল এআইএফএফ, ডার্বি কবে জানেন তো?

জোয়াও বলেন, ‘‘অন্য দলগুলি আগে বাইরে প্র্যাকটিস সেরে পরে ঘরের মাটিতে অনুশীলন করছে। কিন্তু আমার কাছে আগে উত্তর-পূর্বের মাঠ, মানুষ, আবহাওয়া ও সমাজের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার ছিল। জন জানিয়েছেন, ফুটবল এখানে ধর্মের মতো। তাই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আগেই আসার সিদ্ধান্ত নিই। দলও তাই এখানেই আগে অনুশীলন সেরেছে।’’

জন জানান, বর্তমানে এনইইউএফসি দলের শিলং অ্যাকাডেমিতে থাকা-খাওয়া করে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ৬৮ জন কিশোর। অসমেও শীঘ্রই তিনি উন্নত ফুটবল অ্যাকাডেমি খুলতে চান। গত রাতে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। জন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার অ্যাকাডেমির জন্য জমি দিলেই অতি উন্নতমানের, সর্বাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরির কাজ শুরু করা হবে। আমরা শুধু প্রতিযোগিতায় খেলতে আসিনি। গোটা অঞ্চলের ফুটবলের উন্নতিসাধনই আমাদের লক্ষ্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন