বুমরার অ্যাকশন নিয়ে সন্দিহান ছিলেন কপিল দেব। ছবি: এপি।
১৯৮১ সালে মেলবোর্নে ভারতের জয়ের রূপকার ছিলেন কপিল দেব। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে। সদ্য মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ম্যাচ-জেতানো বোলিংয়ে ক্রিকেটমহলের নজর কেড়েছেন জশপ্রীত বুমরা। তিনি চমকে দিয়েছেন স্বয়ং কপিলকেও।
ভারতের চিরশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার বলেছেন, “মানতেই হচ্ছে যে বুমরা আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। যখন ওকে প্রথম দেখি তখন ভেবেছিলাম ও কী পারবে এই ধরনের অ্যাকশন নিয়ে টিকে থাকতে। কিন্তু ও সেটা পেরেছে। টুপি খুলে সেলাম জানাচ্ছি ওকে। অস্ট্রেলিয়ায় ও যে অসাধারণ বল করেছে, তার প্রশংসা করছি। মানসিক ভাবে ও নিশ্চয়ই খুব শক্তপোক্ত।”
মেলবোর্নে বুমরার অসাধারণ বোলিংয়ের পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি তাঁকে বিশ্বের সেরা বোলার বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁকে খেলতে হয় না বলে স্বস্তিপ্রকাশও করেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছেন, “এত ছোট রানআপে ধারাবাহিক ভাবে ঘন্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করে বুমরা। যা অবিশ্বাস্য। এটাকে সম্মান জানাতেই হবে। ওঁর কাঁধ যে স্পেশ্যাল, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। এই ধরনের বোলাররা অনন্য।”
আরও পড়ুন: সিডনিতে রোম্যান্টিক বিরাট-অনুষ্কা, বর্ষবরণের ছবি ভাইরাল
আরও পড়ুন: ‘ঘুমিয়ে থাকলে স্বপ্নের মধ্যেই খাওয়াজাকে আউট করবে অশ্বিন-জাডেজা’
কপিল আরও বলেছেন, “নতুন ও পুরনো, দুই ধরনের বলেই বুমরা দারুণ। বিপক্ষকে চমকে দেওয়ার মতো বাউন্সার রয়েছে ওর। ও নিশানায় অভ্রান্ত থাকে। কোথায় বল করছে, এটা জানে। মস্তিষ্ককে কাজে লাগায় ও। এসব কারণেই বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হয়ে উঠেছে।” বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ভারতের ২-১ এগিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বড় অবদান বুমরারই। এই বছরেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তাঁর। ডানহাতি পেসার নয় টেস্টে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। সিডনিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। যেখানে বুমরাই কোহালিদের প্রধান অস্ত্র।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)