চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

কেনকে ছাড়াই ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে অঘটন স্পার্সের

প্রথমার্ধে ভাল খেলেছিল জার্মান ক্লাবই। গোল করতে পারেনি হুগো লরিস অসাধারণ কিছু ‘সেভ’ করায়। দ্বিতীয়ার্ধে ছবি উল্টে যায়। দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরে স্পার্স। ৪৭ মিনিটে নিখুঁত ফিনিশে ১-০ করেন সন হিউং-মিন। শেষ চার ম্যাচে গোল পেলেন দক্ষিণ কোরীয় উইঙ্গার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৮
Share:

নায়ক: অসাধারণ গোলে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেন সন হিউং-মিন। ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এএফপি

টটেনহ্যাম ৩ • ডর্টমুন্ড ০

Advertisement

আয়াখ্স ১ • রিয়াল মাদ্রিদ ২

হ্যারি কেনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা অনেকটা নিশ্চিত করল টটেনহ্যাম হটস্পার। বুধবার ওয়েম্বলিতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-০ হারিয়ে। টটেনহ্যাম ম্যানেজার মাউরিসিয়ো পচেত্তিনো তাঁর প্রত্যেক ফুটবলারকে বললেন, ‘এক-একজন বীর’। তাঁদের অভিবাদনও জানালেন।

Advertisement

প্রথমার্ধে ভাল খেলেছিল জার্মান ক্লাবই। গোল করতে পারেনি হুগো লরিস অসাধারণ কিছু ‘সেভ’ করায়। দ্বিতীয়ার্ধে ছবি উল্টে যায়। দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেরে স্পার্স। ৪৭ মিনিটে নিখুঁত ফিনিশে ১-০ করেন সন হিউং-মিন। শেষ চার ম্যাচে গোল পেলেন দক্ষিণ কোরীয় উইঙ্গার। তবে সেরা গোল করলেন বুধবার ওয়েম্বলিতে। টটেনহ্যামের অন্য দু’টি গোল ৮৩ ও ৮৬ মিনিটে। করলেন ডিফেন্ডার ইয়ান ভার্তোনেন ও পরিবর্ত ফার্নান্দো ইয়োরন্তে।

পচেত্তিনো বলেন, ‘‘ফুটবলারেরা বীরের মতো খেলছে। শুধু আজ নয়। পুরো মরসুম।’’ এই মরসুমে বায়ার্ন মিউনিখকে পিছনে ফেলে বুন্দেশলিগা জয়ের দাবিদার ডর্টমুন্ড। ২১ ম্যাচের ১৫টি জিতেছে। পয়েন্ট ৫০। তাই টটেনহ্যামের কাছে জেডান সাঞ্চোদের হেরে যাওয়াকে অঘটন বলা হচ্ছে। হয়তো তাই পচেত্তিনো বললেন, ‘‘৩-০ জেতাটা ভাল ফল। কিন্তু এটা প্রথম লেগ। পরের ম্যাচ ডর্টমুন্ডে খেলা। ওদের খাটো করলে বড় ভুল করব আমরা।’’

এ দিকে, আমস্টারডাম এরিনায় বুধবার রাতে ভাল খেলেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ১-২ হারল আয়াখ্স আমস্টারডাম। ৬০ মিনিটে করিম বেঞ্জেমার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় রিয়াল। ৭৫ মিনিটে ডাচ ক্লাবের হাকিম জ়াইয়েখ ১-১ করেন। মার্কো আসেনসিয়োর সৌজন্যে রিয়াল জয়ের গোল পায় ৮৭ মিনিটে। মাঝখানে আয়াখ্স-এর দুসান তাদিচ গোলে বল পাঠালেও বাতিল হয়। রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ঘোষণা করেন, অফসাইড হয়েছে। ৮৯ মিনিটে রিয়াল অধিনায়ক সের্খিয়ো র‌্যামোস এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন। এবং নিজেই স্বীকার করলেন, সেটা ইচ্ছে করে দেখেছেন যাতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব থেকে তাঁর খেলা না আটকায়। নিয়ম হচ্ছে, তিন বার হলুদ কার্ড দেখলে এক ম্যাচের নির্বাসন হয়।

র‌্যামোস হয়তো ধরে নিচ্ছেন, তিনি না খেললেও নিজেদের মাঠে ফিরতি ম্যাচ রিয়াল জিতবে। তবে অতীতে কিন্তু ইচ্ছে করে হলুদ কার্ড দেখার জন্য নির্বাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। র‌্যামোস হয়তো ঝুঁকিই নিলেন। এখন উয়েফা কী করে সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন