নায়ক: রাহুলকে ফিরিয়ে জয়ের রাস্তা সহজ করেন বুমরা। —ফাইল চিত্র।
বুধবার রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কে এল রাহুলের ব্যাটে ঝড় তোলা দেখে তাঁকে থামানোর বিশেষ পরিকল্পনা করেন যশপ্রীত বুমরা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেই রাহুলকে আউট করেন তিনি। এ ছাড়াও নেন আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তাঁর এই বোলিংয়েই প্রায় হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যে জয়ের ফলে প্লে-অফের দৌড়ে রইল তারা।
দলকে জিতিয়ে বুধবার রাতে পেসার বুমরা বলেন, ‘‘একটা স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকা খুব দরকার। বোলিং করার সময় যে রকম পরিস্থিতিতে পড়ি, সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে নিই। আমার দিনটা আজ ভাল ছিল। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি।’’ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ওপেনার রাহুল ৬০ বলে ৯৪ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পরেও আউট হয়ে যান। ১৮৬ রান তা়ড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত তিন রানে হারে তারা। দলের ১৬৭ রানের মাথায় বুমরার বলে লং অফে বেন কাটিং-এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাহুল।
তাঁকে আউট করা নিয়ে বুমরা বলেন, ‘‘রাহুল যে ফর্মে রয়েছে, তা সবারই জানা। বোলারদের বৈঠকে আমরা সব ক্রিকেটারকে নিয়েই আলোচনা করি। আমাদের পরে বোলিং করতে হবে জেনে আমি শেন বন্ড (বোলিং কোচ) ও লাসিথ মালিঙ্গার (মেন্টর) সঙ্গে কথা বলি। ওঁরা বলেন, শিশির পড়বে, এই কথা মাথায় রেখে বোলিং কোরো।’’ নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে গুজরাতি পেসার বলেন, ‘‘কে ভয় পাচ্ছে, কে পাচ্ছে না, সে সব না ভেবে নিজেকে কী করতে হবে, তাতেই মন দিই বেশি। দিন ভাল থাকলে পরিকল্পনা কাজে আসে।’’
লিগের শুরুতে টানা ব্যর্থতার পর প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে আসাটা রূপকথার মতো লাগছে রোহিত শর্মাদের সেরা বোলারের। বলেন, ‘‘অনেকে ভাবেন, এটা সোজা। আসলে কিন্তু তা নয়। বেশ কঠিন। আমরা আগে ম্যাচ শেষই করতে পারছিলাম না। আমরা এখন ম্যাচ শেষ করতে পারছি। বাকি ম্যাচগুলোতে আমরা এ রকমই খেলতে চাই।’’ মুম্বইয়ের শেষ ম্যাচ দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে, রবিবার। সেই ম্যাচে জিততে পারলেই তাদের প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে।