পাল্টা চিঠি দিয়ে জবাব সৌরভের

বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশের কথা উল্লেখ করে সভায় সৌরভ জানান, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য ক্রিকেট প্রশাসনে সত্তরোর্ধ্ব ও ন’বছর থাকা সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে এবং তিন বছর অন্তর কুলিং অফের সুপারিশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:২৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বঙ্গ ক্রিকেটের শীর্ষকর্তাদের যুদ্ধে নয়া মোড়। সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে যুগ্মসচিব পদ থেকে পাকাপাকি ভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিএবি ওয়ার্কিং কমিটি। উপরন্তু সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে পাল্টা কড়া চিঠি দিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শও দিলেন।

Advertisement

শনিবার ছিল সিএবি ওয়ার্কিং কমিটির সভা। এ দিন গত সভায় সুবীরবাবুর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ উঠতেই সভায় ঝড় ওঠে। সভায় থাকা এক সদস্য জানান, ‘‘আগের সভার বিবরণীতে লেখা ছিল তিনি ‘আপাতত’ (অ্যাট প্রেজেন্ট) যুগ্মসচিব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।’’ ফলে প্রশ্ন ওঠে উনি যদি ‘আপাতত’ সরে দাঁড়ান, তা হলে তাঁকে এই সভায় ডাকা হল না কেন? তখনই সৌরভ সেই প্রশ্নের উত্তর দেন।

বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশের কথা উল্লেখ করে সভায় সৌরভ জানান, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য ক্রিকেট প্রশাসনে সত্তরোর্ধ্ব ও ন’বছর থাকা সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে এবং তিন বছর অন্তর কুলিং অফের সুপারিশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আদালতের এই নির্দেশ অনুযায়ী সুবীরবাবুর এই পদে আর থাকার কথা নয়। সেই কারণেই তাঁকে সরতে হয়েছে।

Advertisement

আগের দিন চিঠিতে সৌরভের পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন সুবীরবাবু। কিন্তু সৌরভ এ দিন জানান, তিন বছর অন্তর কুলিং অফের সুপারিশে স্থগিতাদেশ রয়েছে বলে তাঁর পদত্যাগের প্রশ্ন উঠছে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বোর্ডের দুই শীর্ষকর্তা অনিরুদ্ধ চৌধুরি ও অমিতাভ চৌধুরির উদাহরণও দেন। জানান, এঁরাও একই স্থগিতাদেশের বলে বর্তমান পদে তিন বছরের বেশি থাকা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন।

বোর্ডের প্রাক্তন আইনজীবী ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অম্বুডসম্যান’ নির্বাচিত করা নিয়ে সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ঊষানাথবাবুর যোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা বোর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, রাজ্য সংস্থার ক্ষেত্রে নয়। উনি (সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়) ভাল করে না জেনে এ সব কথা কী করে বলছেন!’’

এ দিন সভা থেকে বেরিয়ে সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া চিঠিও পাঠান সৌরভ। ব্যক্তিগত ‘লেটারহেডে’ এই চিঠিতে সুবীরবাবুর অভিযোগগুলির বিরোধিতা করে সিএবি প্রেসিডেন্ট তাঁকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা শুনে এ দিন সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি আমাকে আদালতে যেতে বললে নিশ্চয়ই যাব। তবে এই চিঠিটা উনি আগে দিলেন না কেন? ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা তো তা হলে চিঠিটা পড়ার সুযোগ পেতেন।’’

কারও কারও মনে হচ্ছে, লোঢা কমিটির সুপারিশ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরিতেই যত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন