ক্রিকেট বিশ্বের প্রখ্যাত প্রাক্তন অলরাউন্ডারদের একজন ধরা হয় তাঁকে। নিউজিল্যান্ডকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন, ট্রফি জিতিয়েছেন। মাঠের বাইরের জীবনেও বারবার শিরোনাম হয়েছেন তিনি। ম্যাচ গড়াপেটায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। ললিত মোদীর সঙ্গে লেগেছে। বর্তমানে ব্রিটিশ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত ব্যাপারে।
কিন্তু বাস গ্যারাজ ধোয়ার জন্য ক্রিস কেয়ার্নসকে কোনও দিন শিরোনামে আসতে হবে, কেউ বোধহয় ভাবতে পারেননি!
মামলা সংক্রান্ত খরচ মেটাতে গিয়ে কেয়ার্নস এতটাই আর্থিক ভাবে এখন বিপর্যস্ত যে, ট্রাক চালাচ্ছেন। বাস গ্যারাজ ধুচ্ছেন। ঘণ্টায় ১৭ ডলার পাওয়া যাচ্ছে যে!
এক সময়ের ক্রিকেট বিশ্বের দাপুটে অলরাউন্ডারের বর্তমান অবস্থা কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না। টেস্ট ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের মধ্যে যে বারো জন আজ পর্যন্ত ‘ডাবল’ করেছেন (তিন হাজার রান ও দু’শো উইকেট), তাঁদের মধ্যে কেয়ার্নস একজন। এখন তাঁর এমন অবস্থা যে চলতি মাসের শেষে ব্রিটেনে গিয়ে নিজেকে নির্দোষ যে প্রমাণের চেষ্টা করবেন, তার ফ্লাইট ভাড়া জোগাড় করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। প্রচণ্ড অসুবিধেয় পড়তে হচ্ছে সংসার টানতেও।
ব্যাপারটা প্রথম ফাঁস করেন কেয়ার্নসের এক সময়ের টিমমেট ডিওন ন্যাশ। নিউজিল্যান্ডের এক সংবাদপত্রকে ন্যাশ বলেন, “ও সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে যাতে ব্যাপারটা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। যাতে নিজের পরিবারকে ঠিকঠাক ভাবে টানা যায়। তবে হ্যাঁ, ভেবে গর্ব হচ্ছে যে কেয়ার্নস পালিয়ে যায়নি। বাস গ্যারাজ পরিষ্কার করে হোক, যে ভাবে হোক, ও লড়ে যাচ্ছে পরিস্থিতির সঙ্গে।” এখানেই না থেমে ন্যাশ বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত, কেয়ার্নস এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবেন। “এক জন বন্ধুকে এ ভাবে জীবনযাপন করতে দেখাটা খুবই কষ্টের। এ ভাবে একের পর এক অবাঞ্ছিত ঘটনায় ওর নাম জড়ানো দেখেও খারাপ লাগছে। কিন্তু কেয়ার্নসকে যতটুকু চিনি, ও চ্যাম্পিয়ন। ঠিক বেরিয়ে আসবে এ সবের থেকে। বন্ধু হিসেবে আমি শুধু ওর পাশে থাকতে পারি। সেটাই থাকব।”