সিন্ধুকে পাওয়ার গেম খেলতে দেয়নি মারিন

এ বার সিন্ধু এবং আমাদের রূপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। আমি সিন্ধুর প্রতিটা খেলা দেখেছি। প্রতিবার প্রার্থনা করেছি যে ও যেন সফল হয়। ব্যাডমিন্টনে একমাত্র সাইনা একবার ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তার আগে বা পরে কেউ ব্যাডমিন্টনে কোনও পদক পায়নি। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে সিন্ধু দুজনকে স্ট্রেট সেটে হারায়।

Advertisement

রতন গুহ

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০২:১২
Share:

এ বার সিন্ধু এবং আমাদের রূপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। আমি সিন্ধুর প্রতিটা খেলা দেখেছি। প্রতিবার প্রার্থনা করেছি যে ও যেন সফল হয়। ব্যাডমিন্টনে একমাত্র সাইনা একবার ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তার আগে বা পরে কেউ ব্যাডমিন্টনে কোনও পদক পায়নি। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে সিন্ধু দুজনকে স্ট্রেট সেটে হারায়। কোয়ার্টার ফাইনালে চিনের ওয়াং ইহান এবং পরে সেমিফাইনালে জাপানের নাজোমি ওকুহারাকে স্ট্রেট সেটে হারানোর পরই ভেবেছিলাম এ বার সিন্ধু একটা কিছু ঘটাবে। তা আর হল না।

Advertisement

কিন্তু আজ সিন্ধুর কী হল?

সিন্ধু আজ আগ্রাসী খেলাটাই হারিয়ে ফেলেছিল। প্রথম গেমে দুর্দান্ত ভাবে জিতলে‌ও খেলায় প্রচুর নেতিবাচক পয়েন্ট সিন্ধুকে দিতে হয়েছে। সেই নেতিবাচক পয়েন্টের প্রাধান্য ছিল পরবর্তী দুটো গেমেও। এ ছাড়াও দ্বিতীয় গেমে নেটের কাছে খেলতে গিয়ে অসফল হওয়ায় অনেক পয়েন্ট তাকে দিতে হয়।

Advertisement

সেমিফাইনালের প্রথম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ওকুহারা ২১-১৯ পয়েন্টে জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় গেমেই তার স্ট্র্যাটেজি পাল্টে যায় ৫ ফুট ১ হিঞ্চি উচ্চতার ওকুহারাকে সে প্রচন্ড র‍্যালি করতে থাকে। তার সঙ্গে ছিল সিন্ধুর প্রচণ্ড স্ম্যাশ। এই দু’য়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি ওকুহারা। হেরে যায়।

শুক্রবারের ফাইনাল খেলায় তার সেই খেলা অনুপস্থিত ছিল। শুক্রবারের ফাইনালে বিশ্বের ১‌ নম্বর ক্যারোলিনা মারিনের সঙ্গে খেলার আগেই নিজের আত্মবিশ্বাসের চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল সিন্ধু। কিন্তু শুরুতেই ১২-৬ পিছিয়ে যায়। তার পরে খেলা ধরে সে জিতে যায় ঠিকই। কিন্তু তারপরে ক্যারোলিনা দুর্দান্ত খেলতে শুরু করে। দ্বিতীয় গেমে হেরে যাওয়ার পর তৃতীয় গেমে সিন্ধু প্রায় খেলা ধরে ফেলেছিল। এক সময় ১০-১০ হয়ে যায়। তারপর থেকেই ক্যারোলিনা এগিয়ে যেতে ধাকে। সিন্ধু আর তাকে ধরতে পারেনি।

এ দিনের খেলায় সিন্ধু তার আক্রমণাত্মক স্ম্যাশ করার সুযোগ পায়নি। বরং বলা যেতে পারে ক্যারোলিনা তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। বরাবরই সে তৃতীয় কোর্টে র‍্যালি করে খেলেছে। খেলায় ড্রপ শটের প্রাধান্য ছিল। র‍্যালি হয়েছে। কিন্তু সিন্ধু পাওয়ার গেম খেলার সুযোগ পায়নি।

সিন্ধু রুপো পেলেও ক্ষতি নেই। আমাদের সান্ত্বনা ব্যাডমিন্টনে এক ধাপ তো আমরা এগিয়েছি। ব্রোঞ্জ থেকে রূপো তো আমরা পেয়েছি। এটাই বা কম কীসের।

(লেখক ব্যাডমিন্টনে জলপাইগুড়ির প্রাক্তন জেলা চ্যাম্পিয়ন ও বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলা ব্যাডমিন্টন অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক এবং রাজ্য ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন