অ্যাডিলেডের সেঞ্চুরিকেই এক নম্বরে রাখছেন বিরাট

২০১৪ অ্যাডিলেড টেস্টে কোহালি দু’ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। যদিও উল্টোদিকে সে ভাবে কেউ সাহায্য করতে না পারায় ভারত শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪৮ রানে হেরে যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

বিরাট কোহালি. ছবি: রয়টার্স।

বিরাট কোহালির প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের অনবদ্য ইনিংস নিয়ে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। তবুও ভারত অধিনায়ক এই ইনিংসকে জীবনের সেরা মনে করছেন না। কোহালি বরং এক নম্বরে রাখতে চান চার বছর আগে অ্যাডিলেড টেস্টের সেঞ্চুরিকে।

Advertisement

ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহালি বলেছেন, ‘‘জানি না কোন ইনিংসটা সেরা। হয়তো অ্যাডিলেডের সেই ইনিংসের পরে এটা আসবে। ওটা চিরকালই আমার কাছে আলাদা। মনে রাখতে হবে সে বার দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিন ব্যাট করছিলাম ৩৬৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘সে বার মনে এই বিশ্বাসটা ছিল যে, লক্ষ্যে পৌঁছবই। সেটা খুব সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা ছিল। তবে এই ইনিংসটা খেলেও আমি খুবই খুশি আর সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’’

২০১৪ অ্যাডিলেড টেস্টে কোহালি দু’ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। যদিও উল্টোদিকে সে ভাবে কেউ সাহায্য করতে না পারায় ভারত শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪৮ রানে হেরে যায়।

Advertisement

কোহালি অবশ্য স্বীকার করেছেন বার্মিংহামে দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি করাটাও বেশ কঠিন ছিল। কারণ, উইকেটে ভাল মতোই বল নড়াচড়া করছিল। ঘটনাচক্রে এই প্রথম ইংল্যান্ডে কোনও টেস্টে তিনি চল্লিশের বেশি রান করলেন। দ্বিতীয় দিন কোহালির উইকেট পড়তেই ২৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ২৮৭ রানের জবাবে। যা নিয়ে কোহালি বলেছেন, ‘‘শুধু তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনো নয়, ইনিংসটা আরও টেনে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। আউট হয়ে তাই আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। চেয়েছিলাম অন্তত ১০-১৫ রানে এগিয়ে থাকতে। পরে আবার মনে হল, সেটা হলে তো দ্বিতীয় দিন আমরা বোলিং করতেই পারতাম না।’’

এই সফরে আসার আগে তিনি ভাল মতো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছিলেন, অতীতে ইংল্যান্ড সফরে তাঁর অভিজ্ঞতা তেমন ভাল ছিল না বলেই প্রস্তুতিতে জোর দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে হয়তো তাঁদেরই জবাব দিলেন। তবে সরাসরি সে কথা বলছেন না কোহালি। শুধু বলেন,‘‘যে ভাবে এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আমি খুশি। অন্য কে কী বলল তা নিয়ে ভাবার সময় নেই।’’

কোহালিকে প্রশ্ন করা হয় উল্টোদিকে কোনও ব্যাটসম্যানই যখন আর থিতু হতে পারছিলেন না, একের পর এক আউট হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর মনে কী ভাবনা চলছিল। তাতে তিনি জবাব দেন, ‘‘সত্যিই কাজটা কঠিন ছিল। তবে নিজেই নিজেকে বলছিলাম, এই পরিস্থিতিটা উপভোগ করতেই হবে। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা তখন আমার কাছে ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন