Cricket

বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার ভাবনা

বৃহস্পতিবার আইসিসি-র এগজিকিউটিভদের টেলি-বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবার্টস। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার বিষয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩২
Share:

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস। 

করোনার প্রকোপে সারা বিশ্বের খেলাধুলো বন্ধ। স্থগিত আইপিএল-সহ প্রত্যেকটি ক্রিকেট সিরিজ। এ বছরের জুন থেকে ২০২৩ পর্যন্ত একাধিক সিরিজের সূচি পরিবর্তন হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার টেলি-বৈঠকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন আইসিসি কর্তারা। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আইসিসি-র এগজিকিউটিভদের টেলি-বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবার্টস। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার বিষয়ে। পরে রবার্টস বলেছেন, “বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য সব রকমের চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে সুবিধা অনুযায়ী পরে আয়োজন করা হতে পারে। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সমর্থকদের নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ভাবছি। তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করতে রাজি।”

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সরকারও এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে। রবার্টস বলছিলেন, “আইসিসি-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করছি কী ভাবে আমরা সুষ্ঠু ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারি।”

Advertisement

করোনার প্রকোপে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে দিয়েও যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আশি শতাংশ কর্মচারীকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারেরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। পুরো পারিশ্রমিক হয়তো দেওয়া হবে না তাঁদের। তাই বিশ্বকাপ আয়োজন করে তহবিলে অর্থ ফেরানোর চেষ্টা। বলছিলেন, “পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা খুবই জরুরি। দেখা যাক কী ভাবে তা করা যায়।”

আইসিসি-র বিবৃতিতে যদিও এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তারিখ বদলানোর বিষয়ে জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২১ মেয়েদের বিশ্বকাপের তারিখ নিয়ে আলোচনা চলবে। নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও আলোচনার পরে।” বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বহু ওয়ান ডে সিরিজ। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

আইসিসি-র ‘ফিউচার টুর ও প্রোগ্র্যাম’ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয় আইসিসি অনুমোদিত সব প্রতিযোগিতা। এ দিন কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতের সব সিরিজই পিছিয়ে যেতে পারে। আইসিসি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০২৩ পর্যন্ত ফিউচার টুর ও প্রোগ্র্যামের সংশোধন করা হতে পারে। করোনার প্রকোপে একাধিক সিরিজ পিছিয়ে দিতে হয়েছে।”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement