বিধ্বংসী: ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রান গেলের। ছবি: টুইটার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ক্রিস গেল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খুলনা টাইটান্সের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ান তারকা করলেন ৫১ বলে অপরাজিত ১২৬। এটাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ স্কোর। ইনিংসে ১৪টি ছক্কা মারেন তিনি। খুলনার দল প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭-৬ তুলেছিল। গেলের দাপটে ২৮ বল আগে থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে ১৯তম সেঞ্চুরি করে ফেললেন ক্রিস গেল। এমন একটা সময়ে ক্রিকেটে গেল-ঝড় ফিরল, যখন তাঁকে ধরে রাখা নিয়ে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে সংশয় রয়েছে। বিরাট কোহালিদের দলে আর হয়তো দেখা যাবে না গেল-কে, তেমনই শোনা যাচ্ছিল।
এই সেঞ্চুরির পরেও আরসিবি-র মনোভাব পাল্টাবে কি না, সন্দেহ। তবে তিনি যে ফুরিয়ে যাননি এবং এখনও ছক্কা মারায় এক নম্বর, সেটা ফের প্রমাণ করে দিলেন গেল।
মহম্মদ ইরফানকে লং-অনের উপর দিয়ে ছাক্কা মেরে মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গেল। যিনি নিজেকে ‘ইউনিভার্স বস্’ বলে ব্যাখ্যা করতে ভালবাসেন। রাজকীয় সেই মেজাজ ফের দেখালেন বাইশ গজেও। সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন ৪৫ বলে। ম্যাচটাকে শেষও করলেন নিজস্ব আগ্রাসী ভঙ্গিতে। পর-পর দু’টি ছক্কা মেরে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন রংপুর রাইডার্স-কে। ক্যারিবিয়ান পেসার জোফ্রা আর্চারের একটি ওভারে ২০ রান করেন তিনি।
বাঁ হাতি গেলের দাপটেই রংপুর রাইডার্স চলে গেল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। আর এলিমিনেটরে হেরে বিদায় নিল খুলনা টাইটান্স। খুলনা দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘একেই বলে গেল-ঝড়। দুর্ধর্ষ ব্যাট করেছে ও। আমাদের বোলাররাও জানত, গেল কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।’’