Sports News

আনোয়ার-অমরজিতের চোটে সমস্যায় ভারত

মাতোসের কথায় খুব বেশি আশার কথা শোনা গেল না।  যেন আগে থেকেই হেরে বসে আছেন। শুধু ছেলেদের প্রসঙ্গ টেনে একটাই কথা বলে দিলেন, ‘‘ছেলেরা বলেছে জয়ের জন্যই খেলবে। জিতবেও।’’

Advertisement

সুচরিতা সেন চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ২১:১২
Share:

অনুশীলনে মাতোস অ্যান্ড ব্রিগেড। —ফাইল চিত্র।

ঘানার বিরুদ্ধে কার্যত ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল ভারতীয় শিবির। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার অধিনায়ক অমরজিৎ কিয়াম ও ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির চোট। হয়তো ঘানার বিরুদ্ধে খেলতে পারবে না মাতোসের এই দুই অস্ত্র। যদিও ম্যাচের দিন শেষ পর্যন্ত দেখতে চান কোচ। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও ঝুকি নিতে নারাজ তিনি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা গেল না এই দুই ফুটবলারকে। বরং পুরো দল একদিকে যখন অনুশীলনে ব্যস্ত তখন ফিজিওর সঙ্গে মাঠ জুড়ে হেঁটে বেড়াল এই দুই ফুটবলার। মাতোস জানিয়ে দিলেন, এই দু’জন ছাড়া বাকি সকলেই খেলার জন্য তৈরি।

Advertisement

আরও পড়ুন

পর্তুগালের জন্য আমি খুশি কিন্তু অবাক নই: মাতোস

Advertisement

অনুশীলনে ভারতীয় যুব দল।

যদিও মাতোসের কথায় খুব বেশি আশার কথা শোনা গেল না। যেন আগে থেকেই হেরে বসে আছেন। শুধু ছেলেদের প্রসঙ্গ টেনে একটাই কথা বলে দিলেন, ‘‘ছেলেরা বলেছে জয়ের জন্যই খেলবে। জিতবেও।’’ যদিও তিনি সেই পথে হাঁটলেন না। তাঁর কথায় খেলায় উন্নতিটাই শেষ কথা। বলছিলেন, ‘‘একটা ম্যাচ শেষ হয়ে গেলে পরের ম্যাচের জন্য সব সময়ই মুখিয়ে থাকি। প্রতিটি ম্যাচের আলাদা আলাদা কাহিনী থাকে। তৈরি হয় অন্য স্ক্রিপ্ট। ইউএসএ-র বিরুদ্ধে যে ফুটবল খেলেছিলাম কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে তার থেকে বেটার ফুটবল খেলেছি। এ বার লক্ষ্য সেটাকে ছাপিয়ে যাওয়া। খেলার আগে কোনও দল হারেও না জেতে না।’’ এই গ্রুপের, এমন কী এই টুর্নামেন্টের সব থেকে শক্তিশালী দল ঘানা। যেটা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন ফুটবলার থেকে কোচ সকলেই। তবুও কোথাও যেন একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করছে রহিম আলি, অনিকেজ যাদবদের মধ্যে। আর সেই আত্মবিশ্বাস আর দলের মধ্যের বোঝাপড়াকে হাতিয়ার করেই শেষ ম্যাচে নামবে ভারত। মাতোস বলছিলেন, ‘‘আমরা আমাদের সেরা শক্তি নিয়েই নামব। তবে ওদের ১৮ নম্বর মহম্মদ ইদ্রিসকে কিন্তু নজরে রাখতে হবে। সব থেকে শক্তিশালী প্লেয়ার ও।’’

আরও পড়ুন

জিকসনের গোল দেখার জন্যই বেঁচে ফেরা দেবেনের

ঘানার এই দুরন্ত আক্রমণের বিরুদ্ধে আনোয়ার আলির না থাকাটা সব থেকে বড় ধাক্কা। শুধু স্ট্রাইকারই নন মাতোসের মতে, ঘানার দুই সাইডব্যাক দারুণভাবে আক্রমণে সাহায্য করতে উঠে আসে। ওদের দুটো উইংয়েরও খুব স্পিড। মাতোস বলেন, ‘‘ফিজিক্যাল ফুটবলের সঙ্গে টেকনিক্যালিও ওরা খুব শক্তিশালী। দুই ব্যাক খুব দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারে। ওদের দলে সব পজিশনে এমন একদন, দু’জন রয়েছে যারা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।’’ সেকারণেই এটা পরিষ্কারও করে দিলেন, ভারতীয় দলের সেই প্লেয়ারদেরই মাতোস ব্যবহার করবেন যারা কিছুটা ফিজিক্যাল গেম খেলতে পারেন। সেই তালিকায় অবশ্যই বড় চেহারাই এগিয়ে থাকবে। দলে পরিবর্তনের কথা মেনেও নিয়েছেন মাতোস। ইউএসএ-র বিরুদ্ধে ম্যাচে যে দল খেলেছিল কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সেই দলে চারটি পরিবর্তন এনেছিলেন ভারতের কোচ। এ বারও সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন। জিকসেনর গোলের কথায় এখনও আবেগান্বিত হয়ে পড়ছেন তিনি। কিন্তু পরক্ষণেই গোল হজমকে একাগ্রতার অভাব বলেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি। বলেন, ‘‘জিতব এই বিশ্বাস নিয়েই নামতে হবে। হারি বা জিতি ছেলেদের আগাম শুভেচ্ছা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন