নাইজেরিয়ায় এমনটা আকছার ঘটে। ডাকাতি আর এমন কি? খুন, কিডন্যাপ তো নিত্যদিনের ঘটনা। আর এমন অবস্থার সব থেকে বেশি শিকার হন দেশের ফুটবলাররা। এই তো গত কালের ঘটনা। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন নাইজিরিয়ান প্রিমিয়র লিগ চ্যাম্পিয়নরা। প্রি-সিজন টুর্নামেন্ট খেলতে উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার কাদুনায় যাচ্ছিল এনিয়েম্বা দল। দু’বারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়নদের বাস মাঝ রাস্তায় আটকে দেয় ডাকাতদের একটি দল। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়া হয় এনিয়েম্বার প্লেয়ারদের। দলের এক ডিফেন্ডার বলেন, ‘‘মাঠে বল আটকানো আর ডাকাতদের আটকানো যে এক নয় সেটা বুঝে গিয়েছি। মনে হচ্ছিল এখনই গুলি চলবে আর আমরা বেঁচে ফিরব না।’’
ফোন, টাকা থেকে পাসপোর্ট সবই ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে প্লেয়ারদের থেকে। দলের ফুটবলার আনায়েমা বলেন, ‘‘আমাদের মাটিতে শুইয়ে দেওয়া হয়। আমার মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা। প্পতিবাদ করলেই গুলি চলত। আমরা কেউ খেলার মতো অবস্থায় নেই। সবার মধ্যে এখনও আতঙ্ক রয়েছে।’’ গত বছরই নাইজেরিয়ান ক্লাব কানো পিলার্সের পাঁচ প্লেয়ার খেলতে যাওয়ার সময় বন্দুকবাজদের খপ্পড়ে পড়ে আহত হয়েছিল। ফুটবলারদের জীবন নাইজেরিয়ায় সব থেকে বেশি সংশয়ে কাটে। এমন অবস্থায় বাসে ট্র্যাভেল করার বদলে যাতে ফ্লাইটে করা যায় সেই কথাই ভাবা হচ্ছে।
আরও খবর: মৃত্যু ফুটবলারের