(বাঁ দিক থেকে) শাহিন আফ্রিদি, বাবর আজ়ম এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান। —ফাইল চিত্র।
তিন জনেই পাকিস্তানের প্রাক্তন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এক সময় যাঁরা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির দিকে আর তাকাচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে জায়গা পাননি তাঁরা।
সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন ও অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচকেরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও সাদা বলের ক্রিকেটে তিন ক্রিকেটারের সাম্প্রতিক ফর্ম তাঁদের বিপক্ষে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পাকিস্তান ০-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় হেরেছিল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন রিজ়ওয়ান। খেলেছিলেন বাবরও। তার পরে নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের দলে জায়গা পাননি তাঁরা। বাংলাদেশ সিরিজ়েও তাঁদের নেওয়া হয়নি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “হেসন ও সলমন বলেছেন, কারও জন্য দলের দরজা বন্ধ হয়নি। তার পরেও পাকিস্তানের নির্বাচক কমিটি বাবর, রিজ়ওয়ানের দিকে তাকাচ্ছে না। ছোট ফরম্যাটে ওদের স্ট্রাইক রেট ও মন্থর খেলার জন্য অনেক ম্যাচে দলকে হারতে হয়েছে। তাই ওদের নেওয়া হচ্ছে না।” পাকিস্তানের বর্তমান নির্বাচক কমিটির প্রধান প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদ। কমিটিতে রয়েছেন আকিব জাভেদও। জানা গিয়েছে, হেসন বাংলাদেশ সিরিজ়ে বাবর ও রিজ়ওয়ানকে চেয়েছিলেন। কিন্তু আকিব তাঁদের পরমার্শ দিয়েছেন তরুণদের দিকে তাকাতে।
শাহিন অবশ্য নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ে ছিলেন। চারটে ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ওভার প্রতি ১০.২৩ রান দিয়েছিলেন। খারাপ ফর্মের জন্যই বাংলাদেশ সিরিজ়ের দলে তাঁকে নেওয়া হয়নি। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই কথা মাথায় রেখে দল তৈরি করতে চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই তাদের পরিকল্পনা তিন ক্রিকেটারকে জানিয়ে দিয়েছেন হেসন। ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ফ্লরিডাতে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে পাকিস্তান। তার পরে আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলবে তারা।