অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (বাঁ দিকে) এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। — ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার সব মাঠের মধ্যে ব্রিসবেনের গাব্বায় সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড ইংল্যান্ডের। ২২টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটিতে জিতেছে তারা। ১৯৩৩ এবং ১৯৩৬ সালের পর ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালে। তবু বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা দিন-রাতের টেস্টের আগে ভয় পাচ্ছেন না বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডকে ভরসা জোগাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, যারা গত পাঁচটি টেস্টে হেরেছে।
১৯৮৯ থেকে ২০২১, দীর্ঘ ৩২ বছর গাব্বায় কোনও টেস্ট হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ভারত ২০২১-এ গাব্বার দুর্গ ভেঙে দেয়। শুভমন গিল, ঋষভ পন্থের ইনিংস জিতিয়েছিল ভারতকে। তিন বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ও জেতে গাব্বায়। গত বছর ভারত গাব্বায় ম্যাচ ড্র করেছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জয় থেকেই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে ইংল্যান্ড। দলের ব্যাটার অলি পোপ বলেছেন, “আমরা জানি গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ভাল। তবে এটাও জানি, গত বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এসে কী ভাবে জিতেছিল। আমরা সেটা দেখেই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছি। দল হিসাবে পরিসংখ্যানের দিকে নজর নেই আমাদের।”
পার্থে দু’দিনে হারের পর সিরিজ়ে ০-১ পিছিয়ে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনে দিন-রাতের টেস্টে খেলতে হবে তাদের। গাব্বা তো বটেই, গোলাপি বলেও ইংল্যান্ডের নজির ভাল নয়। ফলে জোড়া চাপ তাদের সামনে। গাব্বায় অনেক হতাশার হার দেখতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। সেই পরিসংখ্যান আর বাড়াতে চাইছে না তারা।
স্টোকস জানিয়ে দিলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন তরুণ দল সব ভয় কাটিয়েই নামবে। তিনি পাল্টা চাপে ফেলতে চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। ইংরেজ অধিনায়ক বলেছেন, “আমাদের দলের অনেকেই প্রথম অ্যাশেজ় সফরে এসেছে। তাই ওদের কাছে পুরোটাই নতুন অভিজ্ঞতা। তাই ওরা মোটেই ভয় পাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে গাব্বার গুরুত্ব যেমন, আমাদের কাছে এজবাস্টন বা হেডিংলের গুরুত্বও তেমন। ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামলে সব দলেরই কোনও না কোনও প্রিয় মাঠ থাকে।”