বিরাট কোহলি (একেবারে বাঁ দিকে) ও শুভমন গিলের সঙ্গে আদিল রশিদ। ছবি: পিটিআই।
সেই একই বল। সেই একই ভাবে আউট বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচের পর তৃতীয় ম্যাচেও রশিদের হলে আউট হয়েছেন বিরাট কোহলি। বার বার একই ভাবে আউট হচ্ছেন তিনি। কোহলির দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে নজির গড়লেন ইংল্যান্ডের স্পিনার। ভাগ বসালেন আরও দুই বোলারের কীর্তিতে।
কোহলিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১১ বার আউট করেছেন রশিদ। ৩৪টি ম্যাচে এই নজির গড়েছেন তিনি। তার মধ্যে টেস্টে চার, এক দিনের ক্রিকেটে পাঁচ ও টি-টোয়েন্টিতে দু’বার কোহলির উইকেট নিয়েছেন ইংরেজ স্পিনার।
কটকে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে রশিদের বল পড়েছিল মিডল ও অফ স্টাম্পের মাঝে। সেখান থেকে বল স্পিন হয়। কোহলির পা বলের কাছে পৌঁছয়নি। শরীরের থেকে অনেক দূরে ব্যাট চালান তিনি। বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক ফিল সল্টের দস্তানায় পৌঁছয়। অহমদাবাদে রশিদের বল পড়ে লেগ স্টাম্পে। সেখান থেকে বল ঘোরে। এ বার কোহলি বলের কিছুটা কাছে পৌঁছলেও শটের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আবার তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটরক্ষকের দস্তানায় যায়।
অফ স্টাম্পের বাইরে কোহলির দুর্বলতা এখনও মেটেনি। পেসার হোক বা স্পিনার, একটু ফুল লেংথে বল পড়লেই সামনের পায়ে ড্রাইভ মারতে যান কোহলি। অনেক সময় শরীর ও ব্যাটের দূরত্ব বেশি থাকে। ফলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না তিনি। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লাগে। ফলে আউট হন তিনি। চলতি সিরিজ়ে দু’টি ম্যাচেই সেটা দেখা গেল। কোহলির এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে নজির গড়লেন রশিদ।
কোহলিকে আরও দুই বোলার ১১ বার করে আউট করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার জশ হেজ়লউড ২৯টি ম্যাচে ও নিউ জ়িল্যান্ডের টিম সাউদি ৩৭টি ম্যাচে কোহলিকে ১১ বার করে আউট করেছেন। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন ও মইন আলির বলে ১০ বার করে আউট হয়েছেন কোহলি। ইংল্যান্ডেরই আরও দুই বোলার বেন স্টোকস তাঁকে ন’বার ও গ্রেম সোয়ান আট বার আউট করেছেন। আট বার করে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জ়াম্পা ও প্যাট কামিন্সের বলে সাজঘরে ফিরেছেন কোহলি।