India vs Pakistan

মনে হচ্ছে কভার ড্রাইভে এ বার নিয়ন্ত্রণ এসেছে! বদলার ম্যাচে দলকে জিতিয়ে বললেন বিরাট

দুবাইয়ে কর্মসূত্রে প্রচুর পাকিস্তানি থাকার ফলে সে দেশের প্রচুর সমর্থক খেলা দেখতে আসেন। সেই মাঠেই পাকিস্তানকে হারাতে পেরে একটু বেশিই খুশি বিরাট কোহলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৭
Share:

বিরাট কোহলির কভার ড্রাইভ। ছবি: পিটিআই।

তাঁর প্রিয় শট কভার ড্রাইভ। অথচ এক সময় সেই শট খেলতে গিয়ে বহু বার আউট হয়েছেন। শটে নিয়ন্ত্রণ থাকত না। হয় কভারে ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দিতেন। নয়তো খোঁচা লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হতেন। সেই শটে এ বার নিয়ন্ত্রণ এসেছে। মেনে নিলেন বিরাট কোহলি।

Advertisement

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কভার ড্রাইভ মেরে শতরান পূরণ করেছেন এবং দেশকে জিতিয়েছেন কোহলি। তবে অতীতে বহু বার এই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সফরে বার বার কভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন। বোলারেরা কোহলিকে প্রলোভন দেখিয়েছেন শট খেলার জন্য। সেই শটের প্রসঙ্গে ভারতীয় বোর্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, “বিষয়টা বেশ অদ্ভুত। অনেক দিন ধরেই কভার ড্রাইভ আমার দুর্বল জায়গা। তবে বহু রান করেছি এই শটে। আজ আমি স্রেফ নিজের উপরে বিশ্বাসটা রেখেছিলাম। শুরুর দিকে কভার ড্রাইভে দুটো বাউন্ডারি মেরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। সামান্য ঝুঁকি নিয়ে সফল হলে ভাল লাগে। মনে হয়, শটটার উপর আমার নিয়ন্ত্রণ এসে গিয়েছে।”

নিরাপত্তার কারণে দেশে খেলা না হওয়ার সময় পাকিস্তান নিজেদের ঘরের মাঠ বানিয়েছিল দুবাইকে। সে দেশে কর্মসূত্রে প্রচুর পাকিস্তানি থাকেন। ফলে প্রচুর সমর্থকও খেলা দেখতে আসেন। সেই মাঠেই পাকিস্তানকে হারাতে পেরে একটু বেশিই খুশি কোহলি। আরও একটু তৃপ্ত শুনিয়েছে তাঁর গলা।

Advertisement

কোহলি বলেছেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেললে এমনিতেই একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। তার উপর আবার এই দেশে খেলা, যেখানে দু’দেশের সমর্থকেরাই সমান-সমান। তাই দল হিসাবে এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছেও একটা দারুণ দিন গেল।”

দীর্ঘ দিন ধরে তিন নম্বরে খেলছেন কোহলি। রবিবার দ্রুততম হিসাবে পেরিয়েছেন ১৪ হাজার রানও। কী ভাবে এই পজিশনে খেলতে নেমে সফল হয়েছেন তা নিয়ে কোহলির ব্যাখ্যা, “তিন নম্বরে ব্যাট করার সময় বরাবর একটা জিনিস মাথায় রেখেছি, যতটা সম্ভব কম ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হবে। আমি বরাবর দলের জয়কে প্রাধান্য দিই। রান তাড়া করার সময় যদি দেখি খেলা শেষ করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তা হলে সেটা লুফে নিই। বরাবর এই ধরনের পরিস্থিতি আমার পছন্দের।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement