Manipur Cricket Association

প্রস্তুতির জায়গা চেয়ে সিএবির দ্বারস্থ মণিপুর

শেষ কয়েক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে মণিপুর। উঠে এসেছেন রাজকুমার রেক্স সিংহের মতো বাঁ-হাতি পেসার। কিন্তু আসন্ন মরসুম শুরু করার আগে প্রস্তুতির জায়গা পাচ্ছেন না ক্রিকেটারেরা।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

যত দিন যাচ্ছে, ভয়াবহ হয়ে উঠছে মণিপুরের পরিবেশ। গত তিন মাস ধরে নেই ইন্টারনেট পরিষেবা। বিকেল থেকে শুরু হচ্ছে কার্ফু। কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ থামছেই না। বৃহস্পতিবারই দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনও উপায় এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। সমস্যায় পড়েছেন মণিপুরের খেলোয়াড়েরা। ফুটবলার চিংলেনসানা সিংহের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের ঘরবন্দি করে রাখার খবর ধীরে ধীরে উঠে আসছে।

Advertisement

শেষ কয়েক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে মণিপুর। উঠে এসেছেন রাজকুমার রেক্স সিংহের মতো বাঁ-হাতি পেসার। কিন্তু আসন্ন মরসুম শুরু করার আগে প্রস্তুতির জায়গা পাচ্ছেন না ক্রিকেটারেরা। ফলে অন্য রাজ্যে ক্রিকেটারদের পাঠিয়ে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতির পরিকল্পনা করছে মণিপুর ক্রিকেট সংস্থা। তাদের সচিব লেইসাংথেম রোনেল সিংহ সিএবি-র কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। অভিষেক ডালমিয়া প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন উত্তরপূর্ব ভারতের ক্রিকেটকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত সিএবিও তাদের সাহায্য করতে তৈরি।

মণিপুরের সচিব রোনেল আনন্দবাজারকে বলছিলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে গত তিন মাস ধরে ইন্টারনেট নেই। ক্রিকেটারেরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না। প্রস্তুতির কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই বিভিন্ন রাজ্যে চিঠি পাঠিয়ে সাহায্য চাইছি।’’ যোগ করেন, ‘‘আমাদের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে অসমে গিয়েছে। সেখানে প্রস্তুতির জায়গা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও এক দল গিয়েছে গুজরাতে। সেখানেও প্রস্তুতি নেওয়া যায় কি না খোঁজ চলছে। তবে খুশি হব, যদি সিএবি আমাদের সাহায্য করে।’’

Advertisement

সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত ছুটিতে আছেন। সচিব নরেশ ওঝা জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব মণিপুর ক্রিকেট সংস্থাকে সাহায্য করতে চান। নরেশ বলছিলেন, ‘‘আমরা মণিপুরের আবেদনপত্র পেয়েছি। এখানে যে বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে, আমরা অবশ্যই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’’ যোগ করেন, ‘‘এইটুকু বলতে পারি, যতটা সম্ভব মণিপুরকে সাহায্য করবে সিএবি।’’

মণিপুরের পরিবেশ এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে ক্রিকেটারদের অনেকেই নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চাইছেন না। রেক্স সিংহ বলছিলেন, ‘‘দেওধর ট্রফি খেলতে আপাতত পুদুচেরি এসেছি। খেলা শেষ হলে আমি দিল্লি চলে যাব। বাড়িতে ফিরে লাভ নেই। প্রস্তুতি নিতে পারব না।’’

মণিপুরে শান্তি কবে ফিরবে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন