জাহির খান। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা ছিল। সেটাই সত্যি হল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরের পদ ছাড়লেন জাহির খান। মাত্র এক বছর দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো’ এই খবর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লখনউকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন পেসার জাহির।
জানা গিয়েছে, দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা ও প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে মতের মিল হচ্ছিল না তাঁর। লখনউয়ের অধিনায়ক ঋষভ পন্থের সঙ্গে জাহিরের সম্পর্ক বেশ ভাল। কিন্তু গত মরসুমে লখনউ ভাল খেলতে পারেনি। তার একটা বড় কারণ দলের বোলিং আক্রমণ। বোলিং আক্রমণ সাজানোর দায়িত্ব ছিল জাহিরের। তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না লখনউয়ের মালিক। পরে নিজেও আর সেখানে থাকতে চাননি জাহির। তাই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গৌতম গম্ভীর কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হওয়ার পর জাহিরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এলএসজি কর্ণধার। মর্নি মর্কেল ভারতীয় দলে যোগ দেওয়ায় গত মরসুমে লখনউয়ের বোলিং কোচের দায়িত্বও সামলাতে হয় জাহিরকে। কিন্তু দ্রুত জাহিরের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক তিক্ত হয়। জাহির যে লখনউ ছাড়বেন সেই জল্পনা এক মাস আগে থেকেই চলছিল। লখনউ ইতিমধ্যেই বোলিং কোচ হিসেবে ভরত অরুণকে নিয়ে এসেছে। লখনউ কর্তৃপক্ষ বোলিং কোচ হিসাবে অরুণকে চুক্তিবদ্ধ করার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান জাহির।
আগামী মরসুমের আগে নতুন মেন্টর নিতে হবে লখনউকে। জানা গিয়েছে, নতুন যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর উপর গোয়েন্কার অন্য দলগুলোরও দায়িত্ব থাকবে। ফলে এলএসজি ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান সুপার জায়ান্টস এবং ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিনালসের দেখভালও করতে হবে নতুন মেন্টরকে।
লখনউয়ে ভারতের একঝাঁক তরুণ জোরে বোলার রয়েছেন। আকাশদীপ, আবেশ খান, ময়ঙ্ক যাদব, প্রিন্স যাদব, মহসিন খান, আকাশ সিংহদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব এ বার কেকেআরের প্রাক্তন বোলিং কোচ অরুণের। লখনউয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘বোলিং কোচ অরুণকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছি। দলের জন্য তরুণ প্রতিভা খুঁজবেন তিনি। এ ছাড়া ডারবান সুপার জায়ান্টসের জোরে বোলারদের কোচিং করাবেন। আগামী মরসুম থেকে ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিনালসের সঙ্গেও কাজ করবেন।’’
লখনউয়ের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত জাহির মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে তিনি ছিলেন মুম্বইয়ের ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’। পরে তিনি হন ‘হেড অফ গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট’। গত বছর আইপিএলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি পন্থেরা। হয়তো সেই কারণে এবং গুরুত্ব কমে যাওয়ায় লখনউয়ের দায়িত্ব ছাড়লেন জাহির।