স্ট্রেট ড্রাইভ
Kagiso Rabada

কামিন্সদের চেয়ে এগিয়ে রাবাডাদের পেস বিভাগ

অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে আরও গোলাবারুদ বেশি। কাগিসো রাবাডা এবং অনরিখ নখিয়া হল এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম দুই বোলার।

Advertisement

সুনীল গাওস্কর

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪১
Share:

কাগিসো রাবাডা। — ফাইল চিত্র।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ একটা সিরিজ় জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। আজ, বুধবার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে যা কাজে দেবে বলেই মনে হয়।

Advertisement

ভারতীয়রা ভাল করেই জানে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জেতেনি ওরা। তাই এই রেকর্ডটা মুছে ফেলতে চাইবে। তা ছাড়া পরের মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তার আগে এই সিরিজ়টা যদি জিততে পারে, তা হলে বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামতে পারবে।

অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে আরও গোলাবারুদ বেশি। কাগিসো রাবাডা এবং অনরিখ নখিয়া হল এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম দুই বোলার। যারা ম্যাচের যে কোনও সময়ে উইকেট তুলতে পারে।

Advertisement

এর সঙ্গে রয়েছে লুনগি এনগিডি। যাকে ঠিক প্রাপ্য গুরুত্বটা দেওয়া হয় না। এনগিডি দু’দিকেই বলটা মুভ করাতে পারে। তা ছাড়া নিজের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে উইকেট থেকে বাউন্সও আদায় করে নিতে পারে।

বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম মসৃণ রান আপ ছিল ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিংয়ের। যে কারণে ওকে বলা হত, ফাস্ট বোলারদের ‘রোলস রয়েস’। হোল্ডিংয়ের পরে যদি কারও রান আপের কথা বলতে হয়, তা হলে অবশ্যই রাবাডার নাম করতে হবে। ধারাভাষ্যকারদের বক্স থেকেও রাবাডাকে দৌড়ে এসে বল করতে দেখাটা একটা দারুণ তৃপ্তির ব্যাপার। ইনিংসের শুরুতেই বিপক্ষের উইকেট তুলে নিয়ে ওদের ধাক্কা দিতে রাবাডার জুড়ি নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংটা মূলত দাঁড়িয়ে আছে কুইন্টন ডি’কক আর ডেভিড মিলারের উপরে। ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে খুব পছন্দ করে ডি’কক। সাদা বলে ভারতের বিরুদ্ধে তো ডি’ককের রেকর্ড দারুণ। সেটা ওদের মাঠে হোক কী ভারতের মাঠে। আর ‘কিলার’ মিলার তো কয়েকটা ডেলিভারির মধ্যে ম্যাচ বিপক্ষের হাত থেকে নিয়ে চলে যায়। যে কারণে ভারতীয় বোলাররা চাইবে দ্রুত ওর উইকেট তুলে নিতে। ভারতীয় ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খুব ভাল খেলেছিল। কিন্তু বোলিং নিয়ে চিন্তাটা থেকেই যাচ্ছে।

তবে যশপ্রীত বুমরার হাত থেকে আবার সেই ইয়র্কার বেরোতে দেখে দারুণ লাগল। সিরিজ়ের শেষ ম্যাচটা দেখে মনে হল, হর্ষল পটেল ওর আত্মবিশ্বাস আর ছন্দটা ফিরে পাচ্ছে। অক্ষর পটেল তো অসাধারণ খেলল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এই সিরিজ়েও ও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারহতে যাচ্ছে।

নিঃসন্দেহে আরও একটা উত্তেজক সিরিজ় দেখতে চলেছি আমরা। বিশ্বকাপের আগে যা ক্রিকেট-খিদেটা আরও বাড়িয়ে দেবে। (টিসিএম)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন