মুখোমুখি দুই অধিনায়ক। ছবি টুইটার
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবক’টি ম্যাচে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ফাইনালেও সেই অপরাজিত থাকার দৌড় বজায় রাখতে মরিয়া তারা। উল্টোদিকে থাকবে অস্ট্রেলিয়া, যাদের ঘরে পাঁচটি একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একটিও নেই। রবিবার ফাইনালে কে হবে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তা নিয়ে সবারই আগ্রহ তুঙ্গে।
প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হওয়ার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দাপট দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র এক বারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ২০১৬ সালে ভারতের ধরমশালায় হওয়া সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৪২-৮ তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপ্টিল ৩৯ করেন। জবাবে ১৩৪-৯ স্কোরেই থেমে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। হারে আট রানে। ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান। দু’টি করে উইকেট নেন কোরি অ্যান্ডারসন এবং মিচেল স্যান্টনার। ম্যাকক্লেনাঘান এবং অ্যান্ডারসন এখনকার দলে না থাকলেও স্যান্টনার রয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৯টি ম্যাচে, নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫টি। চলতি বছরই মার্চে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল দুই দেশ। ঘরের মাঠে সেই সিরিজ ১-২ ব্যবধানে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান মার্টিন গাপ্টিলের (৪৩৫)। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের (২৫১)। সর্বোচ্চ উইকেটের দিক থেকেও এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ইশ সোধি পেয়েছেন ১৬টি উইকেট। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট অ্যাশটন আগারের (১৩)।
দু’ দল ছ’ বছর আগে ৫০ ওভারের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল। সে বার ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৮৩ রানে থেমে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সাত উইকেট বাকি থাকতেই জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।