টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের শ্যাম্পেন উৎসব। ছবি: আইসিসি।
পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রেকর্ড ছুঁয়েছেন জস বাটলাররা। গোটা দল আনন্দে আত্মহারা। কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফিও উঠে গিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের হাতে। তার পরেই ঘটল বিপত্তি। দুই সতীর্থকে মঞ্চ থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারা যখন উল্লাসে ব্যস্ত তখনই অধিনায়কের এমন অনুরোধে প্রথমটা অবাক হয়ে যান সহ-অধিনায়ক মইন আলি এবং স্পিনার আদিল রশিদ। যদিও তাঁদের কারণ বুঝতে অসুবিধা হয়নি। সতীর্থরা শ্যাম্পেন খুলবেন। শ্যাম্পেনে ভিজবেন সকলে। সেখানে থাকা উচিত হবে না মইন এবং রশিদের। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে মদ বা মদ জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকেন পাক বংশোদ্ভুত এই দুই ক্রিকেটার। তাই শ্যাম্পেনের বোতল খোলার আগে দুই সতীর্থকে পোডিয়াম ছাড়ার অনুরোধ করেন বাটলার। যাতে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না লাগে। মইন এবং রশিদও সতীর্থদের একটু অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন।
এটুকু বাদে বাকি সব সময়ই সতীর্থদের সঙ্গে ছিলেন মইন এবং রশিদ। ট্রফি পাওয়ার পর ছবি তোলা হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সকলের গলায় ছিল পদক। উৎসবের মেজাজে তখন ট্রফি হাতে বাটলারদের মধ্যে। কেউ চেঁচাচ্ছেন, কেউ লাফাচ্ছেন। একে অপরকে ঝাঁকিয়ে দিচ্ছেন। তার মধ্যেই মঞ্চ ছাড়তে হয় মইন এবং রশিদকে।
এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। যে কোনও সাফল্যের পরেই শ্যাম্পেনের বোতল খোলার থাকলে মইন এবং রশিদ কিছুটা দূরে সরে যান সে সময়। সতীর্থদের শ্যাম্পেন স্নান হয়ে গেলে আবার তাঁরা উৎসবে যোগ দেন। ইংল্যান্ডের সব ক্রিকেটারই তাঁদের এই ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করেন। তাঁরাও সতর্ক থাকেন। ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জেতার পরও ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক অইন মর্গ্যান শ্যাম্পেন উৎসবের আগে মইন এবং রশিদকে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে এখন এটাই দস্তুর।
রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুই সন্তানকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বাটলারের স্ত্রী। পরিবারকে নিয়েও আনন্দে মাততে দেখা যায় ইংল্যান্ড অধিনায়ককে। বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যেও দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সতীর্থের কথা আলাদা করে খেয়াল রেখেছিলেন বাটলার।