BGT 2024-25

গম্ভীরের উল্টো সুর খোয়াজাদের মুখে, সিডনির পিচের সমালোচনা অসিদের

সিডনি টেস্টে হারলেও পিচের প্রশংসা করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। উল্টো সুর শোনা গেল উসমান খোয়াজা এবং স্টিভ স্মিথের মতে। দু’জনেই জানালেন, সিডনির পিচ মোটেই ব্যাটিংয়ের উপযোগী ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৯
Share:

সিডনির এই পিচেই হয়েছে ম্যাচ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

সিডনি টেস্টে হারলেও পিচের প্রশংসা করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। জানিয়েছিলেন, এ রকম পিচই দরকার টেস্ট ক্রিকেটের জন্য। তবে উল্টো সুর শোনা গেল উসমান খোয়াজা এবং স্টিভ স্মিথের মতে। দু’জনেই জানালেন, সিডনির পিচ মোটেই ব্যাটিংয়ের উপযোগী ছিল না। জিতলেও অসি ক্রিকেটারেরা মুগ্ধ জসপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে।

Advertisement

ম্যাচের পর খোয়াজা বলেছেন, “মিথ্যা কথা বলব না। আগে থেকে সিডনির উইকেট নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাইনি। খুব একটা ভাল উইকেট মোটেই ছিল না। প্রথামাফিক সিডনির উইকেট বানানো হয়নি। গোটা পিচ ভেঙে গিয়েছিল। প্রচুর ঘাস ছিল। ব্যাট করতে সমস্যা হয়েছে। স্কোরবোর্ড দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন।”

সিডনির ঘরের ছেলে স্টিভ স্মিথও পিচ নিয়ে খুশি নন। তিনি বলেছেন, “আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন সিডনির পিচ। অনেক কঠিন ছিল খেলা। দু’দিক থেকে গতিশীল ছিল। সুইং করছিল বল। আগে কোনও এসসিজি-তে এ রকম উইকেটে খেলিনি। ব্যাট করতে সমস্যা হয়েছে।”

Advertisement

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়‌ে ৩২টি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। বিপক্ষের ব্যাটারদের প্রাণ অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন তিনি। তবে শেষ দিন বল করতে পারেননি। ট্রেভিস হেড বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫ জনই চাইছিল যাতে শেষ দিন ও বল না করে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছে। দারুণ একটা সিরিজ় কাটিয়েছে। টেস্ট খেলা শুরু করার পর থেকে আমার দেখা সেরা সিরিজ়‌।”

খোয়াজা বলেছেন, “আমার মানসিকতা ঠিকই ছিল। কিন্তু বুমরাহকে খেলতে পারিনি। চাই না কখনও কেউ চোট পাক। তবে বুমরাহের চোটে আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছিল। ওকে খেলা দুঃস্বপ্নের মতো।”

সিডনিতে জয়সূচক শট এসেছে অভিষেককারী ক্রিকেটার বিউ ওয়েবস্টারের ব্যাট থেকে। তাঁর মতে, ক্রিকেটজীবনের সেরা মুহূর্ত হিসাবে হয়তো এটাই থেকে যাবে। তিনি বলেছেন, “একটা বাউন্ডারি মারার পরেই দেখছিলাম জয়ের জন্য চার রান চাই। হাতে মাত্র দুটো বল ছিল। ভাবছিলাম, চার মেরে দেশকে জেতানোর সুযোগ কি আর পাওয়া যাবে। ঠিকই করেছিলাম, যা হয় হোক চার মারার চেষ্টা করব। ভাগ্য ভাল ব্যাটে-বলে যোগাযোগ ঠিকঠাক হয়েছিল।”

এ দিকে, সিডনির টেস্ট পরিচিত গোলাপি টেস্ট নামে। ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা হয় এই টেস্টের মাধ্যমে। এই ধরনের টেস্টের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন স্যাম কনস্টাস, যিনি দু’জন কাছের লোককে হারিয়েছেন ক্যানসারে। বলেছেন, “ম্যাকগ্রাথ ফাউন্ডেশনের একটা বিশেষ পরিকল্পনা এই টেস্ট। আশা করি আরও সচেতনতা ছড়াতে পারব। আমি ভাইঝিকে হারিয়েছি লিউকেমিয়ায়। ঠাকুর্দা মারা গিয়েছেন পেটের ক্যানসারে। তাই সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement