Mahendra Singh Dhoni

প্রথম সভা: সবার দল, সবাই নেতা

প্রথম বৈঠকেই বীরেন্দ্র সহবাগ, ইরফান পাঠান, শ্রীসন্থদের মন জয় করে নিলেন নতুন অধিনায়ক। কী বলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি?

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০৫:১৪
Share:

প্রস্তুতি: সিএসকে-র অনুশীলনে ধোনি। সঙ্গে কর্ণ শর্মা। ছবি:ইনস্টাগ্রাম।

২০০৭-এর দক্ষিণ আফ্রিকা। তরুণ এক অধিনায়কের অধীনে অ্যালান ডোনাল্ডদের দেশে পৌঁছল ভারতীয় দল।
প্রথম বৈঠকেই বীরেন্দ্র সহবাগ, ইরফান পাঠান, শ্রীসন্থদের মন জয় করে নিলেন নতুন অধিনায়ক। কী বলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? সেই দলের অন্যতম প্রধান তারকা, অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান সোমবার আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘প্রথম বৈঠকেই ধোনি বলে দিয়েছিল, অধিনায়ক একা আমি নই, অধিনায়ক প্রত্যেকে। সবাই নিজেদের দায়িত্ব ঠিক ভাবে সামলালে, আমাদের হারানো খুব কঠিন। তবে হ্যাঁ, যে-হেতু খাতায় কলমে আমি অধিনায়ক, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এক বার আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ো তোমরা।’’ ইরফান আরও বলেন, ‘‘অধিনায়কের এমন বক্তব্য কেউ আশা করেনি। সহবাগ আর আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সহবাগ নতুন অধিনায়ককে অভিনন্দনও জানিয়েছিল।’’
সে বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় ভারত। ছন্দে না থাকা ধোনি সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। বাড়িতে পর্যন্ত হামলা হয়েছিল তাঁর। বিপর্যয়ের পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সহবাগদের মনে উদ্বেগ ছিল। তা দূর করে দিয়েছিল ধোনির প্রথম টিম মিটিং। এক অন্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনির গল্পও শোনালেন ইরফান। যিনি প্রত্যেক শহরের স্থানীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। বিদেশে পা রেখেই যাঁর প্রথম গন্তব্য ছিল শহরের জনপ্রিয় কোনও রেস্তরাঁ। প্রিয় খাবার, অবশ্যই চিকেনের বিভিন্ন পদ। ইরফানের কথায়, ‘‘আমরা একসঙ্গেই লাঞ্চ, ডিনার করতাম। অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক সিরিজ খেলতে যাওয়ার দিন বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছেই মাহির সঙ্গে বেরিয়ে পড়ি ফ্রায়েড চিকেনের খোঁজে। প্রচুর চিকেন খেতে পারত মাহি। সারা দিন যদি বলা হত চিকেন খাও, তা হলেও খুশি মনে খেয়ে যেত।’’ ইরফান যোগ করেন, ‘‘শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় ম্যাচ খেলতে গিয়ে স্ট্রিট ফুড খুঁজতে শুরু করে মাহি। ওর সঙ্গে দু’ঘণ্টা হাঁটতে হয় ভাল স্থানীয় খাবারের সন্ধানে। গন্তব্যে পৌঁছে তো যাই, কিন্তু সেখানে কয়েক জন আমাদের চিনে ফেলে। ব্যস, মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায়। শেষে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে হোটেলে ফিরেছিলাম আমরা।’’
সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুহূর্তের অন্যতম কারিগর। মিসবা-উল-হকের ক্যাচ নিয়ে বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেন তিনি। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। কাকে বল দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে দলের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন ধোনি। তাঁদের মধ্যে শ্রীসন্থ অন্যতম। কী হয়েছিল সেই মুহূর্তে? ফোনে শ্রীসন্থ বললেন, ‘‘আর পি সিংহ আর আমার ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল। এক ওভার বাকি ছিল হরভজন ও যোগিন্দরের (শর্মা)। মাহি আমাদের থেকে পরামর্শ চেয়েছিল। আমি যোগিন্দরের কথাই বলেছিলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে যোগিন্দর শেষের ওভারে বল করত। হরিয়ানাকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। মাহিও ওর সঙ্গে বহু ম্যাচ খেলেছে। তাই যোগিন্দরকে ও চিনত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন