জ্বলে উঠলেন রোনাল্ডো। জুভেন্তাস গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। ছবি: এপি।
তিনি হ্যাটট্রিক করলেন, জুভেন্তাসকে একাই টেনে নিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে, সেই সঙ্গে হ্যাটট্রিকের সংখ্যায় (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) লিও মেসিকেও ছুঁয়ে ফেললেন।
এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনেকে জবাবও দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রেমিকের দাপুটে হ্যাটট্রিক দেখে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কেঁদে ফেললেন মহাতারকার বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। মঙ্গলবার রাতটা যে সব অর্থেই সিআর ৭-এর।
প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ২-০ হেরেছিল জুভেন্তাস। পরের রাউন্ডে পৌঁছতে হলে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জিততেই হতো রোনাল্ডোদের। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যদি গোল করে বসতো, তা হলে শেষ আটে পৌঁছনোর সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে যেত জুভেন্তাসের কাছে। শুরু থেকেই মরিয়া ছিল ইতালির ক্লাবটি। খেলার ২৭, ৪৯ ও ৮৬ মিনিটে রোনাল্ডোর জাদুতে ম্লান মাদ্রিদের ক্লাব।
রিয়ালে খেলার সময় থেকেই অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ক্লাব বদল করলেও থেকে গিয়েছে পুরনো শত্রুতা। প্রথম সাক্ষাতে জুভেন্তাসকে হারানোর পরে সিমিওনে ভেঙিয়েছিলেন পর্তুগিজ মহানায়ককে। মঙ্গলবার রাতে সেটাই ফিরিয়ে দিলেন বিখ্যাত সাত নম্বর জার্সিধারী।
খেলার ফলাফল—
জুভেন্তাস ৩ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ০
(এগ্রিগেট ৩-২)
২৭ মিনিটে রোনাল্ডোর বিষাক্ত ছোবলে পিছিয়ে পড়ে অ্যাটলেটিকো। ৪৯ মিনিটের গোলটিও হেড থেকে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের গোলকিপার ওব্লাক বোধহয় বলটা থামিয়েছেন। কিন্তু প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কয়েক সেকেন্ড পরেই রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেন। ৮৬ মিনিটে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পেনাল্টি থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গোলকিপার ওব্লাককে উল্টোদিকে ফেলে ৩-০ করেন রোনাল্ডো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২৪টি গোল হয়ে গেল সিআর সেভেনের। এ দিনের পরে তাঁর ও মেসির হ্যাটট্রিকের সংখ্যা সমান সমান। দু’জনেই আটটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন।
রোনাল্ডো জ্বলে ওঠায় আলো ফিরল জুভেন্তাসে।
(চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এল ক্লাসিকো, লা লিগা, ইপিএল, বুন্দেশলিগা, সিরি এ থেকে ফিফা বিশ্বকাপ - ফুটবল জগতের সব খবর আমাদের খেলা বিভাগে।)