নির্দেশ: ভারতীয় দলের অনুশীলনে ড্যানিয়েল। ছবি: এআইএফএফ।
রাঁচীতে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষ স্টিভ স্মিথ অপরাজিত ১১৭ রানে। সেঞ্চুরির সামনে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৮২)। অস্ট্রেলীয় দুই ব্যাটসম্যানের সাফল্যের নেপথ্যে কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে ভারতীয় ফুটবল দলের ক্রীড়াবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল ডিগানের! তাঁর মন্ত্রে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া।
পুণেতে প্রথম টেস্টে ভারতকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ৩৩৩ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্টেই মুখ থুবড়ে পরে স্মিথদের জয়ের স্বপ্ন। ৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ১-১ করেন বিরাট কোহালি-রা। ভারতকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জয়ের লক্ষ্যেই ড্যানিয়েলের শরণাপন্ন হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স কোচ অ্যারন কেলট। তবে কী ভাবে ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলা করতে হবে। ভারতের আবহাওয়ায় কী ভাবে সুস্থ থাকতে হবে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সেই পরামর্শই দিয়েছিলেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের সহকারী।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্ম ড্যানিয়েলের। ক্রীড়াবিজ্ঞান নিয়ে পড়তেন পার্থ-এর এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটিতে। আর মেলবোর্নের বাসিন্দা অ্যারন ছাত্র ছিলেন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির। একই বিষয় নিয়ে পড়ার সূত্রেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে। বছর তিনেক আগে সুনীল ছেত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে ড্যানিয়েল ভারতে চলে এলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি তাঁদের মধ্যে। বেঙ্গালুরু টেস্টের সময় ড্যানিয়েল গোয়ায় অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের শিবিরে আছেন জেনেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অ্যারন।
ভারতীয় দলের এক সদ্য প্রাক্তন ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘আমাদের ডায়েট চার্ট ড্যানিয়েল-ই তৈরি করে দিতেন। উনি বলতেন, ভারতের গরম এবং আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে তেল-মশলাযুক্ত খাবার পুরোপুরি বর্জন করা উচিত। এই কারণেই আমরা শুধুমাত্র সিদ্ধ খাবার খেতাম। এ ছাড়াও তরতাজা থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিতেন উনি।’’ খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ ও’কিফ-দেরও একই পরামর্শ দিয়ে এসেছেন ড্যানিয়েল। সেই সঙ্গে দেখে এসেছেন, এই মুহূর্তে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পদ্ধতিও।
স্মিথ-ম্যাক্সওয়েল যুগলবন্দিতে রাঁচীতে প্রথম দিনেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। তবে ড্যানিয়েলের পরামর্শে তাঁদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন সফল হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে।