প্রসঙ্গ ছিল গল্ফের সুইং। যা নিয়ে বলতে গিয়ে বিশ্ব বরেণ্য গল্ফ কোচ উদাহরণ টানলেন টাইগার উডসের। তাতেই আলোচনার মোড় সুইং থেকে সরে গেল উডস এবং তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে। গল্ফের বাঘ চোট সারিয়ে ফেরায় বিশ্বজুড়ে শোরগোল। সবাই বলছেন, পুরনো উডসকে পাওয়া যাবে এ বার। শুধু একমত নন গল্ফের বহু মহাতারকার মহাগুরু, ডেভিড লিডবেটার। ব্রিটিশ কোচ সাফ বলে দিলেন, ‘‘‘জীবনের সেরাটা টাইগার দিয়ে ফেলেছে। ওর সেই পুরনো আগুনে ফর্মটা ফেরা কঠিন। জ্যাক নিকোলাসের আঠারো মেজর খেতাবের রেকর্ড ভাঙাও প্রায় অসম্ভব (টাইগার জিতেছেন ১৪টি মেজর)। আর একটা মেজর জিততেই পারে টাইগার। তার বেশি আশা করাটা ঠিক হবে না।’’
ভারতে নিজের প্রথম অত্যাধুনিক অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করতে পুণে এসেছিলেন লিডবেটার। গল্ফবিশ্ব যাঁকে এক কথায় গল্ফ সুইংয়ের সুলতান মানে। মহাগুরু নিক ফাল্ডোর সুইং শুধরে দেওয়ার পরেই তিনি জেতেন ছ’টি মেজর। লিখেছেন বহু কোচিং বই। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে একাধিক অ্যাকাডেমি। ছাত্রদের মধ্যে আছেন গ্রেগ নরম্যান, আর্নি এলসের মতো মহাতারকা। সেই লিডবেটার বলছিলেন, ‘‘টাইগারের বয়স একচল্লিশ। সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু পিঠের চোটটা অবশ্যই ফ্যাক্টর।’’
উডসের ফর্ম হারানোর পিছনে তাঁর উদ্দাম ব্যক্তিগত জীবন এবং কোচ বদলানোরও কি বড় ভূমিকা? চৌঁষট্টি বছরের কোচ বললেন, ‘‘টাইগারের ব্যক্তিগত জীবনে ঢোকা ঠিক হবে না। কোচ বদল না ওর নৈশ জীবনযাপন নাকি ক্রমাগত পিঠের ব্যাথায় কাবু থাকাতেই খেলার মান পড়ল, বলা মুশকিল। উডসের ক্ষেত্রে তিনটে কারণই কিছুটা হলেও দায়ী।’’
পুণের অক্সফোর্ড গল্ফ রিসর্টে অ্যাকাডেমি উদ্বোধন করে লিডবেটার বলেন ‘‘প্রতিভা খুঁজে নিয়ে বড় গল্ফার তৈরিই অ্যাকাডেমির প্রধান উদ্দেশ্য।’’ প্রশংসা করলেন ভারতীয় গল্ফারদের। বলছিলেন, ‘‘ভারতীয় গল্ফারদের চোখ আর কব্জির বোঝাপড়া দারুণ। সেটা হয় ওদের ক্রিকেট বা হকি খেলার দৌলতে। এই গল্ফাররা ভাল প্ল্যাটফর্ম পেলে ভবিষ্যতে বড় গল্ফার হয়ে উঠতে পারে।’’ প্রস্তুতির সেই মঞ্চটাই দেবেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন কোচ।