Wrestlers Protest

নিগ্রহ মামলায় কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণকে সমন দিল্লির আদালতের, ১৮ জুলাই হাজিরার নির্দেশ

কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণকে সমন পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। ১৮ জুলাই তাঁকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫১
Share:

ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ।

সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে সমন পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। তাঁর সঙ্গে সমন পাঠানো হয়েছে বিনোদ তোমরকেও। কুস্তিগিরদের একাংশের আনা হেনস্থার অভিযোগের মামলায় আগামী ১৮ জুলাই তাঁদের আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগট-সহ দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিরদের একাংশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন। দিল্লি পুলিশ তদন্তের পর ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট মজা দেয়। সেই চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। তারই প্রেক্ষিতে ব্রিজভূষণ এবং বিনোদকে সমন পাঠিয়েছে রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। আগামী ১৮ জুলাই দুপুর ২.৩০ মিনিটে এই মামলার শুনানি হবে জানিয়েছে আদালত।

গত ২১ এপ্রিল দিল্লির কনট প্লেস থানায় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন কুস্তিগিরেরা। গত ২৩ এপ্রিল থেকে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না শুরু করেন বজরং, সাক্ষী, বিনেশের মতো কুস্তিগিরেরা। বার বার আবেদনের পরেও সরকার তাঁদের কথা না শোনায় গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন অভিযান করেন সাক্ষীরা। সেই সময় দিল্লি পুলিশ তাঁদের জোর করে আটক করে। এই ঘটনার পরে দেশের হয়ে জেতা সব পদক হরিদ্বারে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কুস্তিগিরেরা। কিন্তু কৃষকনেতাদের হস্তক্ষেপে হরিদ্বারে গিয়েও ফিরে আসেন সাক্ষীরা। তাঁরা ৫ জুন পর্যন্ত সময়সীমা দেন কেন্দ্রকে।

Advertisement

এর পর পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বৈঠকে পাঁচটি দাবি করেন কুস্তিগিরেরা। কয়েকটি দাবি মেনে নেয় কেন্দ্র। আশ্বাস দেওয়া হয় যে ১৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা হবে। এই আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন কুস্তিগিরেরা।

কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের পর দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে চার্জশিট জমা দিয়েছে। এক নাবালিকা কুস্তিগিরকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। ফলে ‘পকসো’ আইনেও মামলা রুজু হয় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। যদিও পরে সেই নাবালিকার বাবা হেনস্থার অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। তাই আদালতে ‘পকসো’ আইনে মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন করেছিল পুলিশ। কিন্তু দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক জানিয়েছেন, মামলা নিয়ে রায় দেওয়ার আগে অভিযোগকারী ও ‘নির্যাতিতা’ দু’পক্ষের বয়ান শুনতে চান। তিনি দু’পক্ষকে নোটিসও পাঠিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন